নব্যেন্দু হাজরা: সুন্দরবন এলাকায় বেড়েছে হাতির হানা। জঙ্গলে খাবার না পেয়ে মাঝেমধ্যেই হাতির দল চলে আসছে ধানখেতে। নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। আচমকা হাতির হামলায় বেঘোরে যাচ্ছে প্রাণ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার প্রকৃতি পুজোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী মঙ্গলবার আমি হিঙ্গলগঞ্জে বৃক্ষ পুজো করব। ইদানীং হাতির হানা বেড়েছে। জঙ্গলে খাবার না পেয়ে ধান খেতে ঢুকে পড়ে ওরা। অনেক জমি নষ্ট হয়। প্রাণ যায়।” তিনি জানান, স্থানীয় বনকর্মী, জঙ্গলের বাসিন্দাদেরও এই পুজোয় শামিল করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এতে কর্মসংস্থান হবে। বনকর্মীদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান মমতা।
[আরও পড়ুন: বাংলার রাজ্যপাল পদে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস, অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী, গেলেন না শুভেন্দু]
ভৌগোলিক কারণে সুন্দরবন (Sundarbans) এলাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। হাতির হানার পাশাপাশি সাইক্লোন-বন্যা নিয়েও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দেন, “সুন্দরবনের ব্যাপারে মাস্টার প্ল্যান করে আমরা নীতি আয়োগে জমা দিয়েছি। প্রতি বছর সাইক্লোন হয়, বন্যা হয়। মাস্টার প্ল্যান হলে সমস্যা মিটবে। আমি বনমন্ত্রীকে বলব, আরও সিরিয়াস হয়ে বিষয়গুলি দেখতে।” এর আগেও সুন্দরবনের উন্নয়ন গিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। এদিন ফের বিধানসভায় কড়া বার্তা দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা, “এক চোখ বন্ধ করে, আরেক চোখ দিয়ে আমি দেখতে পারি না। বৃক্ষরোপণ করতে হবে, মানুষকে বাঁচাতেও হবে। আমি নিজে মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জ যাব। সেখানে প্রকৃতি পুজো করব।”
তিনি জানান, জেলাশাসকদের বলা আছে, বাঘ বা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে কুমীরের আক্রমণে বা হাতির আক্রমণে মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি দেখার। পাশাপাশি স্থানীয়রা যাতে চাকরি পান, বনদপ্তরকে তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ বনকর্মীরাই এ ব্যাপারে ভাল জানবেন। স্থানীয়দের চাকরি পাওয়ার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষেও সওয়াল করেন মমতা।