ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সকলকে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে একপ্রস্ত কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে এবার বিধানসভায় পরিষদীয় বৈঠক ডেকে ফের সেই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, শৃঙ্খলা সকলকে মানতেই হবে। না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলে তিনটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে একটি পরিষদীয় কমিটি। বিধানসভার বৈঠকে সেই পরিষদীয় কমিটিকে শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মমতা।
সোমবার দুপুরে বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে অধিবেশনে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, পর পর ৩ দিন বিধানসভায় সময়মতো না এলে চতুর্থ দিনে সেই বিধায়ককে শোকজ করা হবে। সূত্রের খবর তিনি বলেছেন, ''অনেকে অনেক কথা বলছে। কে কী বলছে ভাবার দরকার নেই। এখনও আমি আছি। শেষ সিদ্ধান্ত আমিই নেব।'' পাশাপাশি ছাত্র-যুব সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কথাও জানিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ''ছাত্র ও যুব সংগঠন যতটা তাড়াতাড়ি পারি নতুন করে করে দেব।''
এর পর ছাব্বিশের নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে মমতা বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, ''বিধায়করা বাড়ি বাড়ি যান। ছাব্বিশের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিন। প্রশাসনিক কাজ যা বাকি থাকছে, আমায় জানান। আমি ব্যবস্থা করে দেব। দলের বাইরে কিছু বলার দরকার নেই। শৃঙ্খলা মানতে হবে সবাইকেই। না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোকজ করা হবে।'' তাঁর আরও নির্দেশ, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হবে বিধায়কদের নিয়ে। তাদের সব কর্মসূচি দল এই গ্রুপে জানিয়ে দেবে। তাঁর কথায়, ''বিধায়কদের কারও কিছু বলার থাকলে ওখানে বলে দেবে। আমি জানতে পেরে যাব। আমার কিছু বলার থাকলে ওখানেই বলে দেওয়া হবে। আজ কেউ মন্ত্রী, কাল বিধায়ক। ওসব নিয়ে ভাববেন না। মানুষের কাছে যান। কাজ করুন।''
উল্লেখ্য, গত সোমবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকে পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠনের পর পরই বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের লাগাতার বেফাঁস মন্তব্যের জন্য তাঁকে শোকজ করা হয়। তিনদিনের মধ্যে তিনি জবাবও দেন। নাম না করে এদিন সেই শোকজের বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।