সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া থেকে এবার সরাসরি বাঁকুড়া পৌঁছে যাওয়া যাবে একই লোকাল ট্রেনে। ফলে বিষ্ণুপুর, মুকুটমণিপুর পর্যটনস্থলে যেতে এবার আর খড়গপুর হয়ে ঘুরপথে যেতে হবে না। এতোদিন হাওড়া থেকে ঘুরপথে ২৩১ কিলোমিটারের পথে পাড়ি দিতে হত। যে পথ এবার সংক্ষিপ্ত হয়ে দাঁড়াবে ১৮৫ কিলোমিটারে।
হাওড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার এই রেলপথে সংযোগস্থল মশাগ্রামে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে। মশাগ্রাম থেকে শক্তিগড় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের কাজ হবে আগামী ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এজন্য বহু দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন বাতিলের পাশপাশি ঘুরপথে যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীবকুমার। ১৭ নভেম্বরই হবে কমিশন। হাওড়া থেকে বাঁকুড়া ওই লাইনে ১১০ কিলোমিটার বেগে চলবে ট্রেন। তবে মশাগ্রাম থেকে সিঙ্গল লাইন হওয়ায় সময়ের তারতম্য ঘটবে। এজন্য মশাগ্রামে নতুন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছে রেল।
হাওড়া থেকে শক্তিগড় নতুন এই সিগন্যাল ব্যবস্থায় ৭৫ মিটার ব্যবধানে ট্রেন চলতে সক্ষম হবে বলে রেলের দাবি। নতুন এই সিগল্যালিংয়ের কাজের জন্য কর্ড শাখা ও মেন শাখার বাতিল হবে আটজোড়া দূরপাল্লার ট্রেন। ঘুরপথে চলবে আরও আরও আটজোড়া দূরপাল্লার ট্রেন। ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর বাতিলের তালিকায় প্রথম দিন কর্ড শাখায় ১১টি আপ ও ১২টি ডাউন, মেন শাখায় ১৫ আপ ও ১৪টি ডাউন ট্রেন। দ্বিতীয় দিন কর্ড শাখায় আপে বাতিল ১৫টি ডাউনে ১৭টি ট্রেন। মেন শাখায় আপে বাতিল ১৮টি, ডাউনে ১৬টি ট্রেন বাতিল। শেষ দিনে আপ কর্ডে ১৪টি, মেনে ১৬টি ট্রেন বাতিল। মেন শাখায় ওই দিন ১৮টি আপ ও ১৫টি ডাউন ট্রেন বাতিল।
হাওড়া থেকে বাঁকুড়ার মধ্যে যে লোকাল ট্রেন চলবে তার দায়িত্ব সামলাবে কোন ডিভিশন? কারণ মশাগ্রাম থেক বাঁকুড়া দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আওতায়। তবে হাওডা় কারসেড থাকায় মূলত পূর্ব রেলই ট্রেন চালাবে বলে জানিযেছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা।