অর্ণব আইচ: মোমিনপুরে গোষ্ঠী (Mominpur Clash) সংঘর্ষের তদন্তে গিয়ে বাধার মুখে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার সকালে মোমিনপুরের ভূকৈলাশ রোডের একাধিক বাড়ি-সহ মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশিতে যায় NIA-র প্রতিনিধিদল। বেনজিরভাবে এদিন তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও সঙ্গে নিয়ে যান NIA কর্তারা।
কিন্তু তল্লাশিতে নেমে বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বেশ কয়েক জায়গায় স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বাধা দেন। তদন্তকারীদের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ময়ূরভঞ্জ রোড এবং ভুকৈলাস রোডে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তাঁদের। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় NIA কর্তাদের। তবে, সেসব উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত মোমিনপুর এবং বন্দর এলাকার মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছে NIA। শুধু ভুকৈলাস রোডের তিনটি বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকা। শুধু মহম্মদ সালাউদ্দিন সিদ্দিকি নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩০ লক্ষের বেশি টাকা। জাকির হোসেন এবং টিপু নামের দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দেড় লক্ষ টাকার বেশি নগদ। এরা তিনজনই পলাতক।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে আরও ১৪০ জনের চাকরি বাতিল! বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুজোর অশান্তির আঁচ লেগেছিল কলকাতার (Kolkata)বুকে। মোমিনপুরের (Mominpur) ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর অশান্তির জেরে প্রবল ইটবৃষ্টি হয়। পরের দিন দুপুরে ফের উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের মুখপত্রে ‘বন্দে ভারত’ ইস্যু, মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে পালটা প্রশ্ন দিলীপের]
এতে রাজনীতির রংও লাগে। হাই কোর্টে (Calcutta HC) এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হলে অশান্তি দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতিরা। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার যায় NIA’র হাতে। তদন্তে নেমেই পদে পদে বাধা পেয়ে হচ্ছে NIA-কে।