অভিরূপ দাস: বেলেঘাটা নাইসেডে (NICED) তৃতীয় দফায় মানবদেহে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলছে। মোট এক হাজার জনের উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন। তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে মাত্র তিনশো জন। স্বেচ্ছাসেবী জোগাড়ের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ঠিক কী কারণে পাওয়া যাচ্ছে না স্বেচ্ছাসেবী? কারণ ব্যাখ্যা করলেন বেলেঘাটা নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত।
নিয়মানুযায়ী নাইসেডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যেতে পারে। ট্রায়ালের পর ৩০ মিনিট নাইসেডে থাকতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বেচ্ছাসেবককে ভরতি করা হবে হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে। কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের নাইসেডের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হবে একটি ডায়েরি। তাতেই তাঁদের দৈনিক কার্যকলাপ লিখে রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে শারীরিক অবস্থার গতিপ্রকৃতি স্বেচ্ছাসেবককে নাইসেডে জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কা কঠিন রোগের! করোনা মুক্তির পরও ৩টি পরীক্ষা আবশ্যিক, জানাল স্বাস্থ্যদপ্তর]
আর এই শর্তের ফলেই স্বেচ্ছাসেবক পাওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা আবেদন করছেন। পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর তাঁদের শারীরিক অবস্থা কেমন হবে, সেকথা ভেবেই ট্রায়ালের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত (Shanta Dutta) এ বিষয়ে বলেন, “অনেক সময় ক্যানিং থেকে আমাদের কাছে ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আবেদন আসছে। কিন্তু আমাদের পক্ষে রোজ রোজ সেখানে গিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবকের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ অত সংখ্যক কর্মী আমাদের নেই। তাই বাধ্য হয়ে ক্যানিংয়ের মতো দূরে বসবাসকারীদের ট্রায়ালে অংশগ্রহণে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।” বাধাধরা নিয়মে নাইসেড থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকের কথা বলা হলেও বর্তমানে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদেরও কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলেই জানান শান্তা দত্ত। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর সফলভাবে কবে ভ্যাকসিন বাজারজাত হয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।