গৌতম ব্রহ্ম: এখনই ভাঙা পড়ছে না মন্দারমণির ১৪৪টি 'বেআইনি' রিসর্ট। হোটেল ভাঙা নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মোট ১৪৪টি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নোটিস জারি করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক, এমনকী, মুখ্যসচিবও জানতেন না। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মমতা। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গেই দ্রুতই বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "বুলডোজার কোনও সমাধানের পথ নয়। কোনওরকম বুলডোজার চলবে না।"
১৪৪টি হোটেলের মধ্যে শুধু দাদনপাত্রবাড়েই রয়েছে ৫০টি হোটেল। সোনামুই এলাকায় রয়েছে ৩৬টি। সিলামপুরে ২৭টি, মন্দারমণিতে ৩০টি এবং দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে একটি লজ রয়েছে। উপকূলবিধি না মেনেই সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেশন জোন) এলাকার মধ্যে হোটেলগুলি গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২ মে জাতীয় পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ জারি করেছিল। তবে জেলা প্রশাসন দুই বছর সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। এবার ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। যা আপাতত আটকে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। হাসি ফুটল হোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।