নব্যেন্দু হাজরা: ধর্মতলা থেকে সরে যাচ্ছে এল-২০ বাস স্ট্যান্ড। আর সেখানে গিয়ে বাস ধরতে পারবেন না যাত্রীরা। মেট্রোর কাজের জন্য তা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। বদলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের গেটের কিছুটা দূরে স্থানান্তরিত হতে চলেছে শতাব্দীপ্রাচীন এই স্ট্যান্ড। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪০০০ বর্গমিটার জায়গা চিহ্নিত হয়েছে নয়া বাসস্ট্যান্ডের জন্য। সেখানে তৈরি হবে টিকিট কাউন্টার থেকে শৌচাগার, চালকদের বিশ্রামাগার।
ডবলিউবিটিসি, এসবিএসটিসি, এনবিএসটিসি মিলিয়ে দিনে ৩০০-৩৫০টি বাস চলাচল করে এই টার্মিনার্স থেকে। রোজ হাজার হাজার মানুষ আসেন বাস ধরতে। সোমবার রাজ্য সরকার এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠকে বাসস্ট্যান্ড বদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিধান মার্কেট এবং এল-২০ বাসস্ট্যান্ডের এলাকায় মেট্রোর কাজ চলবে। সে কারণেই এই দুই জায়গা স্থানান্তর করা হবে। এই এলাকায় নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, হাওড়া ময়দান- সেক্টর ফাইভ এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড তিন মেট্রো মিলিত হবে। তিন তলা স্টেশন হবে। যাত্রীরা এক মেট্রো থেকে নেমে অন্য মেট্রোয় উঠতে পারবেন। ফলে চলবে বিরাট কর্মকাণ্ড। আর সেকারণেই সরে যাচ্ছে এই বাসস্ট্যান্ড।
নয়া বাসস্ট্যান্ড যেখানে হবে, সেখানে কী কী সুবিধা লাগবে তা জানতে চেয়ে মেট্রোর তরফে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নবান্নসূত্রে খবর, আগামী বছরের জানুয়ারির শেষেই পুরনো জায়গা থেকে নতুন জায়গায় সরে যাবে এই স্ট্যান্ড। এই এলাকা থেকে বাস সরানোর কথা এর আগে আদালতের তরফেও বলা হয়েছিল। ফলে এই স্ট্যান্ড সরে গেলে আদালতের নির্দেশও পালন করবে সরকার। তবে এই এলাকা থেকে ছাড়া বেসরকারি বাস সরবে কিনা তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আর শুধু এই বাসস্ট্যান্ড নয়, সরিয়ে ফেলা হবে বিধান মার্কেটও। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ও সিধু কানহু ডহরের মাঝামাঝি জায়গায় নির্মাণ হবে বিধান মার্কেটের দোকানঘর। দোতলা বিল্ডিং তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে শুধু দোকানঘর নয়, ফুড কোর্ট, পার্কিং লট, শৌচাগারও থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার এই বাসস্ট্যান্ড নিয়ে বৈঠক হয় রাজে্যর সঙ্গে মেট্রোকর্তৃপক্ষের। সেখানেই এল-২০ বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিনে ৩০ থেকে ৩৫টি বাস দঁাড়িয়ে থাকে। সেগুলোই এবার দঁাড়াবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশনে ঢোকার গেটের কিছুটা দূড়ে। এদিনের বৈঠকে ছিলেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। এক আধিকারিক জানান, এই বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তবে জায়গা ঠিক হয়নি। এদিন জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। নয়া বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে যা যা পরিকাঠামো প্রয়োজন তা মেট্রোর তরফে তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।