অভিরূপ দাস: বাসস্ট্যান্ডের গায়ে শৌচাগার। সঙ্গে ‘ব্রেস্ট ফিডিং রুম’। কলকাতা পুরসভার (KMC) পাইলট প্রোজেক্ট। রাস্তাঘাটে সদ্যোজাতকে দুধ খাওয়াতে আর আড়াল খুঁজতে হবে না মা-কে। বেহালা পর্ণশ্রীতে প্রথম দেখা যাবে এমন বাস স্ট্যান্ড যাতে থাকবে ‘ব্রেস্ট ফিডিং রুম’।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, অনেক জায়গাতেই শিশুকে স্তন্যপান করানোর আলাদা ঘর নেই। বিপাকে পড়েন মায়েরা। অনেক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞর চেম্বারেও দেখা মেলে না ফিডিং রুমের। সদ্য মা হওয়া দীপান্বিতা মিত্র জানিয়েছেন, ঘন ঘন বাচ্চাকে নিয়ে যেতে হয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে। সেখানে কোনও ফিডিং রুম না থাকলে অসুবিধা হয়। তাই এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: মামাতো ভাইয়ের শিক্ষকতার ‘অবৈধ’ চাকরি! ফাঁস করে দিতে চাইতেই কি সপরিবারে খুন দুর্গাপুরের যুবক?]
জনস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অনির্বাণ দলুই জানিয়েছেন, শিশুকে স্তন্যপান করানো একটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটা নিয়ে কোনও লজ্জা থাকা উচিত নয়। তবে যতদিন না এই ছুঁৎমার্গ কাটছে ততদিন এমন ‘ব্রেস্ট ফিডিং রুম’ প্রয়োজন। প্রথম ছ’মাস পর্যন্ত শিশুকে সবসময় মায়ের স্তন্যপান করানোই দস্তুর। কিন্তু রাস্তাঘাটে কোনও কারণে বাচ্চাকে নিয়ে বেরোতে হলে সমস্যায় পড়েন মায়েরা। সেক্ষেত্রে পুরসভার ‘বাস স্ট্যান্ড উইথ ফিডিং রুম’ অভিনব। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, নতুন এই বাস স্ট্যান্ডের ভিতরে থাকবে চেয়ার। একটা স্মার্ট টয়লেট। আর ব্রেস্ট ফিডিং রুম। রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে এই বাস স্ট্যান্ড।
শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বেহালা পর্ণশ্রী থেকে ফোন আসে মেয়রের কাছে। বেহালার বাসিন্দা দ্বৈপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পর্ণশ্রী এলাকার শকুন্তলা পার্কের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন জলের অভাব মিটিয়েছে। এখন ভাঙাচোরা বাস স্ট্যান্ডটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হলেই বড্ড উপকার হয়। এরপরই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাস স্ট্যান্ড উইথ ব্রেস্ট ফিডিং রুমের পরিকল্পনা ছিলই। পর্ণশ্রীতেই তা প্রথম করা হবে।’’ সংবাদ প্রতিদিনকে ফোনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘এটা একটা পাইলট প্রোজেক্ট। সফল হলে সারা কলকাতা জুড়েই হবে এমন বাস স্ট্যান্ড। দেখতে কেমন হবে তার স্কেচ করতে দেওয়া হয়েছে।’’