ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আপাতত স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কিছুতেই বাড়ছিল না। সেই কারণে এক ইউনিট রক্ত তাঁর শরীরে সঞ্চালনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ। রক্তের মধ্যে ‘কেল’ অ্যান্টিজেন পাওয়া গিয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সত্ত্বেও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কিছুতেই বাড়ছিল না। তাই মঙ্গলবার রক্তের নমুনা নিয়ে পাঠানো হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে। সেখানে রক্তপরীক্ষা করে দেখা যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ। কিন্তু তার মধ্যে কেল অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বস্তুত এই অ্যান্টিজেনই রক্তাপ্লতার জন্য দায়ী। মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. বিপ্লবেন্দু তালুকদার জানান, কেল অ্যান্টিজেন সাধারণত ভারতীয়দের রক্তে পাওয়া যায় না। রক্তাপ্লতার জন্য দায়ী এই অ্যান্টিজেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে এদিন এক ইউনিট রক্ত তাঁর শরীরে দেওয়ার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাতিল’ ২০০০ টাকার নোটের কত শতাংশ উদ্ধার হল? জানিয়ে দিল রিজার্ভ ব্যাংক]
এদিন বিকেলের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গতকালই তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছে। আপাতত অক্সিজেন স্যাচুরেশনের পাশাপাশি সার্বিক ভাবে তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এদিন সকালেই জানা গিয়েছিল, একটু সুস্থ হতেই বাড়ি যাওয়ার ‘আবদার’ জানাচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। যদিও তাঁর এই ‘আবদারে’ তেমন সাড়া দিতে নারাজ চিকিৎসকদল। তাদের মতে, ৭৯ বছরের ‘কমরেড’কে এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপর থেকে মেডিক্যাল টিম গঠন করে তাঁর চিকিৎসা চলছে। আগের তুলনায় বর্তমানে অনেকটাই স্থিতিশীল তিনি।