সুদীপ রায়চৌধুরী: লাগাতার হিংসা, সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে শনিবার প্রায় মধ্যরাতে শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। রাজনৈতিক কর্মী, সমর্থক থেকে সাধারণ ভোটার – মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। এছাড়াও বিভিন্ন বুথে ব্যালট লুট, নষ্ট-সহ একাধিক কারণে ঠিকমতো ভোট হতে পারেনি। বিভিন্ন জেলার ৬০৪ টি এমন বুথে সোমবার পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬ টি বুথ। আর পুনর্নির্বাচন (Repoll) ঘিরে কোনওরকম হিংসা রুখতে তৎপর কমিশন। হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী বা ৪ জন জওয়ান মোতায়েন থাকবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
Notification for Re-Poll_ South 24 Pgs
পুনর্নির্বাচন হবে আরও কয়েকটি জায়গায়। পুরুলিয়ার (Purulia) চার ব্লকের ৪ টি বুথে, বাঁকুড়ায় ৮ বুথে ফের ভোটগ্রহণ। এছাড়া বীরভূমের ১৪ টি কেন্দ্রে, ৪২টি আসনে পুনর্নির্বাচন। মালদহ, মুর্শিদাবাদের শতাধিক বুথে হবে পুনরায় ভোট। তালিকায় সবচেয়ে বেশি বুথ সংখ্যা মুর্শিদাবাদ জেলায়। ভোটের দিন এখানেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫ জন। দার্জিলিং, কালিম্পং,ঝাড়গ্রামের কোনও বুথে পুনর্নির্বাচন হবে না। কোচবিহারের ৫৩ বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে।
[আরও পড়ুন: এনসিপির আসল প্রধান কে? পওয়ারের পক্ষেই ভোট জনতার, সমীক্ষায় পিছিয়ে অজিত]
তবে যে ৬০৪ টি বুথে সোমবার পুনর্নির্বাচন, তার প্রত্যেকটিতেই থাকবে আধা সেনা। হাফ সেকশন বা ৪ থেকে ৫ জন আধা সেনা জওয়ান মোতায়েন করা হবে বুথগুলিতে। সেইমতো রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা পৌঁছেছে জেলাগুলিতে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিভিন্ন জেলার স্পর্শকাতর বুথগুলিতেও দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানদের। আর তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। হিংসার জন্য বাহিনীর অনুুপস্থিতিকে দায়ী করেছে অনেকে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পুনর্নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক কমিশন।
[আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে মৃত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক, নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই সুবিচারের দাবিতে মিছিল ফ্রান্সে]
এদিকে, পঞ্চায়েতের গণনা পর্বে শান্তিরক্ষা খুব প্রয়োজনীয় বলে বার্তা দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। কোনও কারণে উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে না হয়, কোনও গন্ডগোল না হয় তা নিয়ে বিধায়কদের সতর্ক করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। বলা হয়েছে, প্ররোচনায় কোনওভাবে পা দেওয়া যাবে না।