ফারুক আলম, বিধাননগর: দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কোচবিহারের বাসিন্দা ধৃত সজল সরকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি। সজল রাজগঞ্জের বিডিও ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছে। খুনের ঘটনায় তার কী ভূমিকা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর আগে এই ঘটনায় রাজগঞ্জের বিডিওর গাড়িচালক এবং এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা। তিনি আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্টঅফিস এলাকার দিলামাটিয়ার বাসিন্দা। দত্তাবাদে সোনার গয়নার দোকান রয়েছে তাঁর। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তারপরই নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড় এলাকার ঝোপ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ছবি দেখে পরিবার দেহ শনাক্ত করে। পরিবারের দাবি, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে।
এই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। অভিযোগ, অপহরণ এবং খুনে পুরোপুরি যুক্ত বিডিও। পরিবারের দাবি, গত প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে দত্তাবাদে দোকান ভাড়া করে ব্যবসা করেন স্বর্ণব্যবসায়ী। দিনকয়েক আগে নাকি ‘বিতর্কিত’ বিডিওর বাড়ি থেকে বেশ কিছু গয়নাগাটি চুরি যায়। ওই গয়নাগাটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করা হয় বলেই দাবি করেন বিডিও। সে সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতেই নাকি প্রথমবার আসেন বিডিও। তা নিয়ে সংঘাতের মাঝে গত ২৮ অক্টোবর, একটি নীলবাতি গাড়ি নিয়ে ফের দত্তাবাদের গয়নার দোকানের সামনে আসেন বিডিও। ওই গাড়ি থেকেই নাকি নামতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন বলেই দাবি স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবারের। ওই গাড়িতে করে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া পরদিন উদ্ধার হয় দেহ। এই ঘটনায় আগেই দু'জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩।
