সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পরই সুরবদল হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানালেন, তৃণমূলেই রয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর মতো যাঁরা দলের কোনও আচরণে আঘাত পেয়েছেন তাঁদের পরামর্শ দিলেন, ক্ষোভ ভুলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার। অর্থাৎ শতাব্দীর পর প্রসূনেরও মানভঞ্জনে সক্ষম হলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
সোমবার বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ছিলেন কুণাল ঘোষও। বৈঠক থেকে বেরিয়ে প্রসূনবাবু বলেন, “অভিষেকের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমার সমস্ত অভাব-অভিযোগ শুনেছেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন। আমি তৃণমূলেই আছি। আমার মতো কারও যদি দলের প্রতি কোনও ক্ষোভ থেকে থাকে, আমি বলব অভিমানে দূরে না গিয়ে দলে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে। এখন আমাদের সবাইকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘শুধু মুখ নয়, প্রয়োজনে হাতও চালাতে পারি’, ভোটের আগে ফের হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের]
সম্প্রতি ফেসবুকে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর মানভঞ্জনে প্রথমে ময়দানে নামেন কুণাল ঘোষ। পরবর্তীতে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শতাব্দী। এরপরই সুর পালটায় তাঁরও। বৈঠকের পরই দিল্লি সফর বাতিল করে ছুটি কাটাতে গোয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বীরভূমের সাংসদ। ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের কর্মী হিসাবে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন বলেও জানান তিনি। আগামী দিনে কারও কোনও সমস্যা হলে বা ক্ষোভ তৈরি হলে তা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের ক্ষোভের জন্য ঘাসফুল শিবিরকে সমস্যায় ফেলে বিরোধীদের হাত শক্ত করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও ফেসবুক পোস্টে বার্তা দেন শতাব্দী।