নিরুফা খাতুন: আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) বাঘের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ১০টি মত বাঘ রয়েছে সেখানে। কিন্তু পরিবারে সুখবর দিতে পারছে না কেউ। তাই রাঁচি থেকে বাঘ নিয়ে এসে প্রজনন করতে চলেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বদলে রাঁচি চিড়িয়াখানাকে কাকাতুয়া দিচ্ছে আলিপুর। কেন্দ্রীয় জু’অথরিটি সবুজ সংকেত দিলে এই শীতে আলিপুর চিডি়য়াখানায় নতুন সদস্যরা চলে আসবে বলে খবর।
২০০৬ সালে শেষবার চিডিয়াখানায় বাঘের প্রজনন হয়েছিল। সাদা বাঘ অনির্বাণ ও হলুদ কালো ডোরা কাটা বাঘ কৃষ্ণা সেই বছর বিশালকে জন্ম দিয়েছিল। বিশালের বড় দিদি রূপার জন্মও চিড়িয়াখানায়। অনিবার্ণ মারা গিয়েছে। রূপার জন্য নন্দনকানন থেকে সুপাত্র ঋষিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ঋষির সঙ্গে এসেছিল পায়েল, স্নেহশিস ও শীলা। স্নেহাশিস ও শীলাকে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি সাফারি পার্কে মধুচন্দ্রিমায় পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। রূপার জন্য ঋষিকে এখানে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ঋষি ঘরজামাই হয়ে থাকলেও পাত্রীকে পাত্তা দিত না। যে কারণে ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গ থেকে স্নেহাশিসকে নিয়ে আসা হয়েছিল আলিপুরে। রূপা ও পায়েলের সঙ্গে তাকে রাখা হয়। স্নেহাশিসের সঙ্গেও রূপা ও পায়েলের ভাব জমেনি।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্টের হুমকি, প্রেমিককে পুলিশের হাতে তুলে দিতে ফাঁদ পাতলেন তরুণী]
এদিকে রূপা ও পায়েলের বয়স হয়েছে। তাদের প্রজানন ক্ষমতা আর নেই। তবে স্নেহাশিস এখনও জোয়ান। ন’বছর বয়স। প্রজানন ক্ষমতা রয়েছে। পছন্দের সঙ্গী না থাকায় স্নেহাশিসও একাকীত্বে ভুগছে। তার জন্যও নতুন করে পাত্রীর সন্ধানে ছিল রাজ্য জু অথরিটি। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, প্রায় ১৬ বছর চিড়িয়াখানায় বাঘের প্রজনন হয়নি। রূপা ও পায়েলের বয়স হয়েছে। তবে স্নেহাশিসের প্রজানন ক্ষমতা রয়েছে। রাঁচিতে তার সঙ্গী পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে একজোড়া বাঘ আসছে। তার পরিবর্তে এখান থেকে দুজোড়া সালফার ক্রেস্টেড কাকতুয়া পাঠাতে ইচ্ছুক। নতুন সঙ্গী পেলে স্নেহেশিসের মনে ফের প্রেম জাগতে পারে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে আলিপুরেও খুশির খবর শোনা যেতে পারে।