দিশা আলম, সল্টলেক: মেঝেয় পড়ে মহিলা। রক্তে ভাসছে গোটা মেঝে। দূরে পড়ে ধারাল অস্ত্র। মহিলার গলায় গভীর আঘাতের দাগ। রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজের আবাসন থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার। তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই যুবক খুন করেছে তার মাকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধৃত।
রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজের ওই আবাসনে মা দেবযানী মজুমদার এবং ছেলে সৌমিক মজুমদার থাকতেন। শুক্রবার সকালে দেখা যায় ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পড়ে রয়েছেন বছর আটান্নর দেবযানী। খবর পেয়ে রাজারহাট থানার পুলিশ। ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে রেকজোয়ানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে তাঁর।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত ছুরি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের ছেলে সৌমিককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের অনুমান, ওই যুবক তার মাকে খুন করেছে। যদিও ধৃত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার দাবি, "আমি মারিনি। সকালে উঠে দেখি এরকম অবস্থা।" জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে চাকরি হারায় সৌমিক। তারপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। ওই অবসাদের জেরে মায়ের সঙ্গে প্রায়শয়ই অশান্তিও হত। সেই অশান্তির জেরে মাকে খুন করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ঘটনার তদন্ত করছে রাজারহাট থানার পুলিশ।
