সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোশীমঠের (Joshimath) মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। মৃত্যু হতে পারে ২০ হাজার মানুষের। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (WB CM Mamata Banerjee)। কেন্দ্রকে বিঁধে তাঁর আরও দাবি, ১০ বছর ধরে দরবার করেও ওই এলাকার মানুষের পুনর্বাসনের জন্য় টাকা মেলেনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে বিজেপির পালটা খোঁচা, কেন বিপর্যয়ের মুখে যোশীমঠ তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। আর রানিগঞ্জে তো অবৈধ খনন চলছে। অবৈধ খনন বন্ধের দায়িত্ব রাজ্যের। সে কাজ তারা করতে পারেনি, এখন কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই।
ধসে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ। মৃত্যু এড়াতে এলাকায় বসতি খালি করিয়েছে সেখানকার সরকার। ভাঙা হয়েছে হোটেল। শেষ সম্বল হাতে করে বাড়ি ছাড়ছেন সেখানকার বাসিন্দার। কেন এমন পরিস্থিতি হল, সরকারের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর মাঝেই পশ্চিম বর্ধমানের খনি অঞ্চল রানিগঞ্জের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্ট চত্বরে মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভ সব বন্ধ! এজলাস বয়কট মামলায় কড়া ৩ বিচারপতির বেঞ্চ]
মেঘালয় সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই আশঙ্কা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ” যোশীমঠের মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৩০ হাজার মানুষ।” তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১০ বছর ধরে দরবার করেও টাকা মেলেনি।” অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএলের দিকেও। বলেন, “ইসিএল জমি নিয়ে রেখে দিয়েছে। কোনও টাকা দিচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, মাঝেমধ্যেই রানিগঞ্জ-আসানসোলের রাস্তায় বিরাট ধস নামতে দেখা যায়। কয়লা খনিতেও ধস নামে। পুনর্বাসনের দাবিতে অবরোধ-বিক্ষোভ পশ্চিম বর্ধমানের খনি এলাকার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তাঁরা বারবার ধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এবার সেখানকার মানুষের অভিযোগই শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “কেন বিপর্যয়ের মুখে যোশীমঠ তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। আর রানিগঞ্জে তো অবৈধ খনন চলছে। দুর্যোগ ঘটলে এর জন্যই ঘটবে। এই অবৈধ খননকাজ বন্ধের দায়িত্ব রাজ্যের। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্যের দায়িত্ব। সে কাজ তারা করতে পারেনি, এখন কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই।”