রমেন দাস: সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2024) কোথায় হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন। ভেনু হিসেবে একপক্ষ এক জায়গার নাম জানিয়েছিল, তো অন্যপক্ষ আরেক জায়গার। ফলে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি পুজো হওয়ার উপক্রম। এনিয়ে চূড়ান্ত শোরগোল শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য দুপক্ষের ঝামেলা মিটিয়ে নতুন করে পোস্টার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিই সরস্বতী পুজো হবে। সবাই মিলেমিশে পুজো করবে ওয়ার্ল্ড ভিউয়ের কাছে।
সমস্যার সূত্রপাত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সরস্বতী পুজোর দুটি পোস্টার ঘিরে। একটিতে লেখা, পুজো হবে সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে। এই পুজো করবেন যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিটের চেয়ারপার্সন সঞ্জীব প্রামাণিক ও তাঁর গোষ্ঠী। আরেকটি পোস্টারে সরস্বতী পুজোর ভেনু হিসেবে লেখা গান্ধীভবন এবং এই পুজোর উদ্যোক্তা সংগঠনের সভানেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Haldar)। এক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি জায়গায় পৃথক পুজো কেন? তবে কি সঞ্জীব এবং রাজন্যা গোষ্ঠীর মধ্যে চূড়ান্ত সংঘাত তৈরি হয়েছে? এসব প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: পুরনোতেই আস্থা, রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য]
খবর পৌঁছয় টিএমসিপি রাজ্য সভাপতির কানেও। তিনি সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন। দুপক্ষকে ডেকে কথা বলেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। সাফ জানিয়ে দেন, দুটি নয়, মিলমিশে একটিই পুজো করতে হবে। তৃণাঙ্কুর জানান, ”দলে সকলের সঙ্গে সবার যে ভুল বোঝাবুঝি হবে না এমন নয়। এক্ষেত্রেও একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। আমি কথা বলেছি। সব মিটেছে। পুজো হবে। ওয়ার্ল্ড ভিউয়ে হবে। কোনও ভুল বোঝাবুঝি আর নেই। সঞ্জীব, রাজন্যা এবং সকলে মিলেমিশে পুজো করবে। কোনও সমস্যা আর নেই।”
[আরও পড়ুন: জ্বলছে সন্দেশখালি, প্রমিস ডে-তে রিলসে ব্যস্ত সাংসদ নুসরত! ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা]
এনিয়ে রাজন্যা হালদার জানান, ”আমাদের ব্যানার অর্থাৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারেই পুজো হবে। বাকি কে কী করছেন, কী ব্যানার দিচ্ছেন আমি বলতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পুজো হবে। সেটা দলের ছাত্র সংগঠনের তরফে হবে। তাতে যদি কেউ আলাদা করে কিছু ভাবেন, তা বলতে পারব না। তবে আমি বিশ্বাস করি, সঞ্জীব প্রামাণিক বা আমি আমাদের একটাই গোষ্ঠী, আমরা একটিই দল করি। আমাদের ছাত্র সংগঠন একই।” সঞ্জীব প্রামাণিকের কথায়, ”আমাদের ছাত্র সংগঠনের পুজো গত ২ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ভিউয়ে হয়েছে। সেই সূত্রেই পোস্টার দেওয়া ছিল। বিষয়টির মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটেছে। পুজো হবে। একই জায়গায় হবে। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে।”