শুভময় মণ্ডল ও সুপর্ণা মজুমদার: সকাল থেকে একঘেয়ে বৃষ্টি। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আকাশের মুখে আর সেই রোদ মাখা হাসিটা ফুটছে না। কিন্তু তা বলে তো আর উৎসব থেমে থাকবে না। সকাল সকাল স্নান সেরে নতুন শাড়ি পরে দিদি-বোনেরা হাজির ভাইকে ফোঁটা দিতে। ভাইয়েরাও নতুন পাঞ্জাবি পরে বসে পড়েছেন। প্রতিবারের মতো এবারেও দুর্বারের কার্যালয়ে এভাবেই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় শামিল হয়েছিলেন যৌনকর্মীরা। চন্দন, ধান, দুর্বা, মিষ্টি দিয়ে দাদাদের বরণ করে নিলেন যৌনপল্লির বাসিন্দারা। সঙ্গে দিলেন একটি করে লাল গোলাপ। লাল এই রঙেই নতুন সম্পর্কের সূচনা হল।
[যমুনা যমকে আদৌ ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন তো?]
পৃথিবীর আদিমতম পেশার সঙ্গে যুক্ত ওঁরা। তবুও সমাজের মূলস্রোতে অনেকেই ব্রাত্য। উৎসবে শামিল হওয়ার কথা শুনলে এখনও অনেকেই নাক সিটকান। যৌনকর্মী বলে কথা। শরীর বিকিয়ে টাকা রোজগার করে। ‘ওদের’ আবার ভাইফোঁটা কিসের? সমাজের এই প্রশ্নের তোয়াক্কা না করেই ভাইফোঁটায় অংশ নিয়েছিলেন যৌনকর্মীরা। ভাইয়ের কপাল ফোঁটা দিয়ে যমের দুয়ারে কাঁটা ফেলার অঙ্গীকার করেই সারলেন দাদাদের মঙ্গল কামনা। দাদারাও মাথা পেতে নিলেন বোনেদের এই ফোঁটা। দিলেন তাঁদের রক্ষার আশ্বাস।
[ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় জওয়ান ভাইদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা লতা মঙ্গেশকরের]
ফোঁটা হল। মিষ্টি খাওয়াও হল। হল উপহার দেওয়া-নেওয়া। হয়তো উৎসব এভাবেই শেষ হয়ে যাবে। ফের পেশার তাগিদে কাজে নামবেন যৌনকর্মীরা। ফের উৎসবে শামিল হওয়ার দিন আসবে। ততদিন আবার অপেক্ষায় থাকা এই এক চিলতে আনন্দের জন্য।
[ভাইয়ের পাতে হোটেলের মেনু, নামী রেস্তরাঁ রিজার্ভের চেষ্টায় দিদিরা]
The post বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভাইফোঁটায় শামিল যৌনকর্মীরাও appeared first on Sangbad Pratidin.
