সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ বিজেপির। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রীর চেহারা নিয়ে ছাপার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ করেন। সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তোপ তৃণমূলের। নারীদের অপমান বিজেপির রক্তে মিশে রয়েছে বলে আক্রমণ করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জানালেন এই কুরুচিকর আক্রমণের উত্তর মানুষ দেবেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর একটি সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখমণ্ডল নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তারপরই সোশাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল কটাক্ষ, নারীদের বিরুদ্ধে বিজেপির বিদ্বেষ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এটি তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যরা নারী বিদ্বেষকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। যখনই বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহস ও বিশ্বাসের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়, তখনই তারা এই ধরনের আক্রমণ করে। রাজ্যের শাসকদলের তোপ শান্তনু ঠাকুর যে মন্তব্য করেছে তা শুধু নারী বিদ্বেষ নয়, নৈতিক অবক্ষয়।
আজ, মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে শান্তনুর নাম না নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, "বাংলার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর উপর বাংলার মানুষ ভরসা রেখেছেন তাঁর মুখাবয়ব নিয়ে ঘৃণ্য থেকে ঘৃণ্যতম মন্তব্য করেছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। ওদের নেতাদের এটাই অভ্যাস। এধরনের কথা ভদ্র লোকে বলেন না।" তিনি আরও বলেন, "যে ধরনের কথা মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে বলা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মানুষ তার যোগ্য জবাব দেবে। যে গণতন্ত্র ওঁরা মানে না, সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাংলার মানুষ উচিত কথা জানিয়ে দেবেন। সেই দিন আসছে।"
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় এমনকী রাজ্য স্তরের নেতারা মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার কুরুচিকর আক্রমণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর 'দিদি ও দিদি' মন্তব্যে শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। এছাড়াও গিরিরাজ সিংয়ের 'ঠুমকা', সুকান্ত মজুমদারের 'ধান্দা', ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিভিন্ন অশ্লীল মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করতে না পেরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। বাংলা মানুষ ব্যালট বাক্সে তার জবাব দেবে।
