shono
Advertisement

Shootout in Kolkata: ভর সন্ধেয় পার্কস্ট্রিটের CISF বারাকে গুলিবৃষ্টি, প্রায় ২ ঘণ্টা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাণ্ডব অভিযুক্তর, মৃত ১

সিআইএসএফ জওয়ানদের মধ্যে বিবাদের জেরেই গুলি চলার অভিযোগ।
Posted: 07:12 PM Aug 06, 2022Updated: 09:09 PM Aug 06, 2022

অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় (Kolkata Shoot Out) ভর সন্ধেয় চলল গুলি। শনিবার সন্ধেয় ভারতীয় জাদুঘরের দায়িত্ব থাকা সিআইএসএফের বারাকের আরমার ইনচার্জ অর্থাৎ অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা কর্তা এলোপাথারি গুলি ছোঁড়ে। তাঁকে আটকাতে গিয়ে মৃত্যু হয় সিআইএসএফের এক এএসআইয়ের। গুরুতর জখম আরও এক। প্রায় দেড়ঘণ্টা পর বন্দুকবাজ সিআইএসএফ জওয়ানের (CISF Jawan) হদিশ এখনও মেলেনি। প্রায় দেড়ঘণ্টা বারাকের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাণ্ডব চালায় অভিযুক্ত জওয়ান। 

Advertisement

পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী,বারাকের আরমার ইনচার্জ অক্ষয়কুমার মিশ্র অস্ত্রভান্ডার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল (AK-47 Rifle) তুলে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। ২০-২৫ রাউন্ড গুলি চলে। তাকে বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সহকর্মী এএসআই রঞ্জিন সরঙ্গী। জখম হন এক অ্যাসিট্যান্ট কমান্ডারও। দুজনকেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে রঞ্জিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। 

[আরও পড়ুন: জেলে কীভাবে একলা দিন কাটাবেন পার্থ? পরামর্শ দিলেন মদন মিত্র!]

বারাকের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়ির সামনের কাঁচ ভেদ করে গুলি ঢুকে যায়। গাড়ির ভিতরে রয়েছে রক্তের দাগ। ফলে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলেছে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রথম গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। এরপর একাধিক গুলি চলেছে। 

এদিকে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা বাগে আনা যায়নি বন্দুকবাজ জওয়ানকে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বারাকের ভিতরেই গা ঢাকা দিয়েছিল সে। তার খোঁজে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বারাক চত্বরে ঢোকে অন্তত ২৫-৩০ জন সিআইএসএফ জওয়ান। আসে বিশাল পুলিশবাহিনী, কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স। ছিল কমব্যাট ফোর্ট, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চলে মাইকিং। সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয় কলকাতা পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: অভিজাত আবাসন থেকে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ২ নম্বর ঘর, কেমন আছেন অর্পিতা?]

ঘটনাস্থে এসে পৌঁছন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে বারাকের ভিতরে ঢোকেন তিনি। ড্রাগন লাইট নিয়ে যাওয়া হয় ভিতরে। চলে তল্লাশি। অবশেষ প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় বন্দুকবাজকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। জানা গিয়েছে, বচসার জেরে চলে গুলি। জাদুঘরের পাশেই রয়েছে বিধায়কদের হস্টেল। ফলে গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিড স্ট্রিট। 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement