অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: এসআইআর (SIR in Bengal) আতঙ্কে রাজ্যে আরও এক মৃত্যু! মৃত ব্যক্তির নাম বাবলু হেমব্রম (৪৫)। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবলু এবং তাঁর পরিবারের কারও নাম নেই। তা জানার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন তিনি। তার জেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। বিধায়ক জানিয়েছেন, বাবলু হেমব্রম এবং তাঁর পরিবার এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় বিজেপিকেও একহাত নেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর কথায়, যেভাবে এসআইআর নিয়ে বিজেপি বিষাক্ত প্রচার করছে তাতে মানুষ আতঙ্কে। এই ঘটনা তারই প্রতিফলন বলেও দাবি অজিত মাইতির।
অক্টোবরের শেষের দিকে বাংলায় এসআইআর (SIR in Bengal) ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে মানুষের মনে এখনও রয়েছে প্রশ্ন-ভয়। অনেক ক্ষেত্রেই যার পরিণতি মর্মান্তিক। দেশ ছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যেই আরও এক মৃত্যুর ঘটনা বাংলায়। জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর বাবলু হেমব্রম পিংলা বিধানসভার খড়গপুর দুই ব্লকের কালিয়ারা (৫/১) গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ নম্বর বুথের দক্ষিণ ঢেকিয়া গ্ৰামের বাসিন্দা। গত বছরই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী'র। চার সন্তান এবং বৃদ্ধ মাকে নিয়েই থাকতেন বাবলু। পরিবারের অভিযোগ, ''২০০২ সালের ভোটার তালিকায় পরিবারের কারও নাম নেই। যা নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলেন। বারবার বলতেন, "আমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে না তো!'' সেই আতঙ্কেই রবিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাবলু হেমব্রম। আজ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে । ইতিমধ্যে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অজিত মাইতি আরও জানান, ''কেন বাবলু হেমব্রম এবং তাঁর পরিবারের নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না, তা কমিশনকেই জানাতে হবে।'' শুধু তাই নয়, মৃত্যুর দায় কমিশনেরই বলেও মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের।
