shono
Advertisement

Breaking News

‘বিজেপির রক্ত-মাংস, এঁদের বাদ দিয়ে বিজেপি নয়’, পরোক্ষে বিক্ষুব্ধদের সমর্থন শমীক ভট্টাচার্যর

দলের আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে নয়া মোড়!
Posted: 09:22 PM Jan 13, 2022Updated: 09:54 PM Jan 13, 2022

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP)আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে এবার নয়া মোড়। বিক্ষুব্ধদের বৈঠককে সমর্থনের সুরেই কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। তাঁর মতে, দলের সঙ্গে সাময়িক মনোমালিন্য হওয়ার পর যদি কোনও নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন, তাহলে তা দলকে সংঘবদ্ধ রাখতেই, অন্য কিছুর জন্য নয়। বিক্ষুব্ধ নেতাদের তিনি বিজেপির ‘রক্ত-মাংস’ বলেও উল্লেখ করেছেন। তাঁর এসব মন্তব্যেই উসকে উঠেছে নতুন জল্পনা। তবে কি তিনিও নাম লেখাবেন বিক্ষুব্ধদের দলে নাকি এহেন মন্তব্যের নেপথ্যে অন্য কোনও ইঙ্গিত রয়েছে? এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এদিকে, দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া হল রাজ্য বিজেপির সব সেল ও ডিপার্টমেন্ট। সেসব পরে পুনর্গঠন করা হবে বলে খবর।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজ্য সদর দপ্তর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শমীক ভট্টাচার্য। একাধিক বিষয় নিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারের প্রতি আক্রমণ করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকরা তাঁকে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে প্রশ্ন করেন। আগামী শনিবার কলকাতা বন্দর (Port Trust) এলাকা বিজেপির ‘বিদ্রোহী’দের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার কথা। তাতে থাকবেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur), দলের রাজ্যস্তরের নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়দের। এই বৈঠকে হাজির থাকার কথা অন্যান্য বিক্ষুব্ধ নেতাদেরও। তা নিয়েই শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে জানান, এঁরা দলকে সংঘবদ্ধ রাখতেই বৈঠক করবেন। তা দলকে জানাবেনও।

[আরও পড়ুন: ধর্ম সংসদে হিংসার উসকানি! আটক মুসলিম থেকে হিন্দু হওয়া জিতেন্দ্র ত্যাগী]

শান্তনু-রাজুদের কার্যত সমর্থন করেই শমীকের আরও বক্তব্য, ”এঁরা বিজেপির রক্ত-মাংস। এঁদের বাদ দিয়ে বিজেপি নয়। অনেকে দায়িত্ব না পেয়ে সাময়িকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এঁরা সকলেই বিজেপির আদিকাল থেকে আছেন। রক্ত-মাংসের মতো। ফলে তাঁরা যা করবেন, তা দলকে সংঘবদ্ধ রাখার জন্যই করবেন।”

[আরও পড়ুন: অক্ষর চুরি হওয়ায় কলেজের নাম বিকৃত হয়ে ‘লেডি ব্রা’, পুলিশের দ্বারস্থ কর্তৃপক্ষ]

একেই বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের সুর ক্রমশই চড়া হচ্ছে। দলের একাধিক নয়া কমিটি তৈরির পর দায়িত্ব খুইয়ে অসন্তোষের রেশ আছড়ে পড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা সাংসদ তথা মতুয়া প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, এরপর তাঁর দিল্লিতে গিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ-সহ পরবর্তী পদক্ষেপ। এই অবস্থায় শমীক ভট্টাচার্যর মন্তব্য সেই বিক্ষোভ পর্বে নয়া মোড়, নিঃসন্দেহে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement