গৌতম ব্রহ্ম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তাঁকে ডিলিট উপাধি সম্মানে ভূষিত করল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর প্রথমবার কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে এই সম্মান দিল। সোমবার সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, “এই ডক্টরেট অফ লিটারেচার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্য ছিল। রাজনীতিতে সাফল্যের জন্য নয়। সেটা তিনি রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন। তিনি এই সম্মানের যোগ্য এবং নিজের যোগ্যতাতেই তা অর্জন করেছেন। তাই আজ এত বড় সম্মান তাঁকে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রদান করা হল। আমরা সবাই খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সাংবিধানিক সহকর্মী। বাংলার পড়ুয়ারাই বাংলার ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। যে ঐতিহ্য রবীন্দ্রনাথের মতো মনীষীরা তৈরি করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে কাজ শুরু নতুন ৫ বিচারপতির, শপথবাক্য পাঠ করালেন প্রধান বিচারপতি]
এরপরই রাজ্যপাল যোগ করেন, “যে সমস্ত রাজনীতিবিদ রাজনীতির সঙ্গেও সাহিত্যে অনন্য কীর্তি রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত। শিক্ষার মধ্যে রাজনীতি প্রবেশ করা ঠিক নয়। কিন্তু রাজনীতির মধ্যে শিক্ষা প্রবেশ করলে তা মন্দ নয়।” এদিকে আজকের এই সম্মান সাধারণের জন্য উৎসর্গ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
“যারা সমাজের একেবারে নিচু তলার মানুষ, দরিদ্র, তাদেরকে উৎসর্গ করলাম আজকের এই সম্মান। একতার জন্য আমি কাজ করব। আমি যে কোনও পরিস্থিতিতে সবসময় আপনাদের পাশে থাকব একজন প্রাক্তন হিসেবে। কোনওদিন হতাশাগ্রস্ত হবেন না, সবার জন্য সবসময় লড়বেন।”
এর আগে ২০১৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) ডিলিট দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট নিয়েছিলেন তিনি। সে সময় অবশ্য তাঁকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এবার ডিলিট সম্মান প্রদান করে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। যদিও এ নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ, “সৌজন্য ভাল, অতি সৌজন্য ভাল নয়।” টুইটারে তোপ দাগেন অনুপম হাজরাও। বলে দেন, রাজ্যের শিক্ষা-ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ডিলিট সম্মান দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।