সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগাম শারদোৎসবের (Durga Puja) সূচনায় রঙিন মহানগর। কলকাতার (Kolkata) রাজপথে সে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। যার সর্বাগ্রে হাঁটছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। উত্তর কলকাতা থেকে সেই মিছিল এল শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বরে। সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজনে চমক। কেউ বাউল, কেউ ছৌ, কেউ নানা সাজে সেজে বিদেশি অতিথিদের সামনে তুলে ধরলেন নিজেদের সংস্কৃতিকে। বিস্মিত অতিথিরা চোখ সরাতেই পারলেন না অনুষ্ঠান থেকে। মঞ্চ এবং মঞ্চের বাইরে আলো কেড়ে নিলেন সেলিব্রিটিরা। এভাবেই আগাম দুর্গাপুজোর সূচনা হয়ে গেল বঙ্গে। উপলক্ষ একটাই। এবছর বাঙালির সেরা উৎসব ‘কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছে ইউনেস্কোর তরফে। তাই তাঁদের সামনে রেখেই সেলিব্রেশনের আয়োজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বহু বছরের গবেষণার ফলে দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর, নেপথ্যে এই গবেষক]
কিন্তু রেড রোডের এই অনুষ্ঠানেও লাগল রাজনীতির রং। বিরোধীরা এর সমালোচনায় মুখর। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার পন্থা হিসেবে চিহ্নিত করছেন অনেকে। এ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)তো কবিতাই লিখে ফেললেন। যার মূল বক্তব্য যেখানে এসএসসি আন্দোলনকারীরা দিনের পর দিন রাজপথে ধরনা দিচ্ছেন প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে, সেখানে এই উৎসব বড়ই বেমানান। আমজনতা তা মেনে নেবে না।
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন সিপিএমের (CPM)রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর বক্তব্য, ”উনি নিজে হেঁটে প্রচারের আলো কাড়বেন বলে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। উনি হাঁটলেন আর রাস্তা বন্ধ হল। সাধারণ নাগরিকদের অসুবিধায় পড়তে হল। তাতে কী? নিজে যা চাইবেন, তাই তো হবে। এভাবে টাকা নয়ছয় হল।” তবে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC)রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর দাবি, ”এমন ঘটনায় রাজনীতিকরণের কী আছে? আমাদের দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা কত বড় প্রাপ্তি! সেই আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই আয়োজন। আসলে ওরা রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠছে না, তাই এসবের সমালোচনায় উঠেপড়ে লেগেছে।” রাজনৈতিক সমালোচনা যতই হোক, রেড রোডের আজকের বর্ণময় অনুষ্ঠান কিন্তু যথেষ্টই মনোরঞ্জন করেছেন আমজনতার।