গৌতম ব্রহ্ম: মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে আড়ালে রেখেই হু হু করে আলু রপ্তানি হচ্ছিল ভিনরাজ্যে। যার জেরে দাম বাড়ছে এ রাজ্যের বাজারে। এই অভিযোগ পেতেই মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে আলু রপ্তানি নিয়ে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁকে না জানিয়ে আলু রপ্তানি হচ্ছে? তাতে রাশ টানতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন টাস্ক ফোর্সকে। আর তাঁর নির্দেশ পেয়ে শুক্রবারই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। আর তাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রপ্তানি আপাতত বন্ধ করা হল। তাতে খানিকটা দাম কমার আশায় ব্যবসায়ী-ক্রেতারা।
শুক্রবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক থেকে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন, স্থানীয় থানার পুলিশের একাংশের হাত ধরে বেআইনিভাবে আলু ভিনরাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে। সেই কারণে এদিন টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্ত, সেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই বাজারে বাজারে অভিযান চালাবেন সদস্যরা। এদিন সকালেও বাজার পরিদর্শন করে টাস্ক ফোর্স। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, সবজির দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম আরও কমবে।
তবে আলুর দাম নিয়ে চিন্তা থাকছেই। এদিনের বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রানাথ কোলে জানান, আলু ব্যবসায়ী সমিতি কেজি প্রতি ২৬ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অন্তত ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তা হাত ঘুরে বাজারে আসতে আসতে দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ২ টাকা বেশি দামে আলু বিক্রি করায় বাজারে দাম এতটা ঊর্ধ্বমুখী। মুখ্যমন্ত্রী পিঁয়াজের দাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন গতকাল। নাসিক থেকে কেন এখনও আমদানি করতে হচ্ছে? তবে এদিন পিঁয়াজের দাম নিয়ে আশ্বস্ত করল টাস্ক ফোর্স। তাঁদের মতে, পিঁয়াজ রাজ্যে ঢুকছে। কয়েকদিনের মধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে। সবমিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে নজরদারি বাড়াচ্ছে টাস্ক ফোর্স।