shono
Advertisement

Breaking News

৫ লক্ষ টাকার অস্ত্রোপচার নামমাত্র খরচে, নিয়ম ভেঙেই বাংলাদেশি তরুণীর প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক

চিকিৎসার খরচ জানলে অবাক হবেন।
Posted: 12:41 PM Nov 23, 2020Updated: 12:41 PM Nov 23, 2020

অভিরূপ দাস: ক্যানসার হাসপাতালে অ্যাসিডে পোড়ার চিকিৎসা! কন্যাসম রোগীনিকে বাঁচাতে নিয়ম ভাঙলেন ডাক্তার। কয়েক মাস আগের ঘটনা। প্রতিবেশী দেশের খুলনার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে অ্যাসিড খেয়েছিলেন উনিশ বছরের রাবেয়া। গলা থেকে যে পথে আগুন-তরল নেমেছিল জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল। উনিশ বছরের কিশোরী কিচ্ছু মুখে তুলতে পারতেন না। এক গ্লাস জল মুখে দিলে যন্ত্রণায় শরীর বেঁকে যেত।

Advertisement

মেয়েকে একা মানুষ করেছেন নার্গিস। চিকিৎসার জন্য সে দেশের একাধিক হাসপাতালে যান তিনি। কিন্তু খরচের বহরে নিম্নবিত্ত পরিবারের মাথায় হাত। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার টানে অনেকেই শহর কলকাতায় আসেন। মেয়ের জীবন ফিরে পেতে নার্গিসও পা রাখেন তিলোত্তমায়। ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালের ( Thakurpukur Cancer Hospital) উলটোদিকেই সস্তার লজ। বাংলাদেশ থেকে আসা বহু পর্যটক সেখানে ওঠেন। সেখানেই মেয়েকে নিয়ে উঠেছিলেন নার্গিস। ঠাকুরপুকুর ক্যানসার রিসার্চের ডিরেক্টর ডা. অর্ণব গুপ্তর (Dr. Arnab Gupta) কথায়, “আমাদের হাসপাতালে সাধারণত ক্যানসারের চিকিৎসা হয়। কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েকে নিয়ে এসে আমার সামনে হাতজোড় করেন ভদ্রমহিলা। যে করে হোক ওকে বাঁচিয়ে দিন। তাঁর আঁকুতি আমি ফেলতে পারিনি।”

[আরও পড়ুন: সাদা শার্ট-জিনস পরা ছোট্ট যুবানের ছবি পোস্ট শুভশ্রীর, কমেন্টে কী লিখলেন শ্রাবন্তী?]

সূত্রের খবর, কলকাতায় এসে মেয়েকে নিয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালেও গিয়েছিলেন নার্গিস। সে হাসপাতাল ৫ লক্ষ টাকা চেয়ে বসে। অথচ সেই একই অস্ত্রোপচার ঠাকুরপুকুর ক্যানসার রিসার্চে হয়েছে মাত্র ২২৭০ টাকায়। এদিকে অ্যাসিড খেয়ে রাবেয়ার শরীরের অবস্থা ক্রমশ ভঙ্গুর হচ্ছিল। খাদ্যনালী সরু হয়ে গিয়েছিল। পাকস্থলীর অবস্থাও ছিল অত্যন্ত খারাপ। মুখে কিছু তুলতে পারতেন না বলে বাংলাদেশের এক হাসপাতাল স্রেফ পেটে একটা নল গুঁজে ছেড়ে দিয়েছিল। ডা. গুপ্ত জানিয়েছেন, এটাকে বলে ফিডিং জেজুনস্টমি। এভাবে বেশিদিন চললে শরীরের স্বাভাবিকত্ব নষ্ট হয়। ভাবছিলেন, মেয়েটিকে আবার আগের অবস্থায় নল ছাড়া খাবার কেমন করে খাওয়ানো যায়?

শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ডা. গুপ্তর কথায়, “এন্ডোস্কোপি করে প্রথমে আমি দেখি খাদ্যনালী ঠিক কতটা সরু হয়ে গিয়েছে। এরপর স্টমাকের যে জায়গাটা ব্লক হয়ে গিয়েছিল সেখানে বাইপাস করা হয়। এ অস্ত্রোপচার হয় এক ছোট্ট নার্সিংহোমে। এন্ডোস্কোপি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই কিশোরীকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ নেন চিকিৎসক। চুপসে যাওয়া খাদ্যনালীকে ফের ফোলাতে বেলুন ডায়ালেটেশন করা হয়। এখন অল্প অল্প পাতলা খাবার খেতে পারে রাবেয়া।” আপাতত মেয়ের বিয়ের চেষ্টা করছেন নার্গিস। ডাক্তারবাবুকে আর্শীবাদ করে বলেন, “ওঁনার জন্যেই নতুন জীবন পেল আমার মেয়ে।” ডা. অর্ণব গুপ্তর কথায়, “আমি প্রধানত ক্যানসারের চিকিৎসক। কিন্তু মানুষের প্রাণ বাঁচানোটা আমার ধর্ম।”

[আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় আসছেন অভিষেক বচ্চন, কবে থেকে শুরু ‘বব বিশ্বাস’-এর শুটিং?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement