shono
Advertisement

দুর্মূল্যের বাজারে ওপার বাংলায় রপ্তানি, এপার বাংলায় হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৬ থেকে ১০ টাকা।
Posted: 09:04 AM Jun 27, 2022Updated: 09:04 AM Jun 27, 2022

নব্যেন্দু হাজরা: দুর্মূল্যের বাজারে ভাত-ডাল-আলুসিদ্ধ খেয়ে দিন গুজরান করাও বুঝি দায়! ডাল, আলুর দাম আগেই ঊর্ধ্বমুখী, এবার বুঝি দু’মুঠো ভাতও নাগালের বাইরে চলে যাবে। চালের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে এমন আশঙ্কাই জেঁকে বসছে আমগেরস্তের হেঁশেলে।
বস্তুত জোগানে ঘাটতি না থাকলেও চালের দামে রীতিমতো ছেঁকা খাওয়ার জোগাড়।

Advertisement

মিনিকেট-বাঁশকাঠি তো রয়েইছে, স্বর্ণ, রত্না-সহ অন্যান্য চালের দামও ভালই বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে আলুসিদ্ধ ভাত জোগানোটাও সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। খুচরো বাজারে গত মাস দেড়েকের মধ্যে লাফিয়ে বেড়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, জোগানের অভাব নেই সেটাও যেমন ঠিক, তেমনই বাইরে প্রচুর চাল রপ্তানি হওয়াতেই যে দাম বাড়ছে সেটাও কিছুটা সত্যি। বিশেষত বাংলাদেশে। এখানকার থেকে কিছুটা বেশি দামেই চাল বাইরে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। মিনিকেট থেকে গোবিন্দভোগ, রত্না থেকে বাঁশকাঠি, বাঁশমতি সব চালের দামই গড়ে গত দু’মাসে ৬ থেকে ১০ টাকা প্রতি কেজিতে বেড়েছে।

ব্যবসায়ীদের কথায়, বাংলাদেশে যতটা উৎপাদন ততটা জোগান এবার সেখানে নেই। আর তাই এ রাজ্যের চালে টান পড়েছে। ওখানে চাহিদা এ রাজ্যের থেকে অনেকটাই বেশি। সব থেকে বেশি স্বর্ণ চাল বাংলাদেশ গিয়েছে। তবে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর সর্বত্রই বাঙালি রয়েছেন, ফলে অন্যান্য দেশেও চাল রপ্তানি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে, একই সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যেও। চালব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এবার চাষিরা পর্যাপ্ত দাম পেয়েছেন ধানের। রাইসমিলেও যথেষ্ট পরিমাণেই ধান মজুত রয়েছে। তা সত্ত্বেও দাম চড়ছে খুচরো বাজারে। পাইকারি বাজারের সঙ্গে রয়ে যাচ্ছে দামের বিরাট ফারাক।

[আরও পড়ুন: জনতা সতর্ক করলেও শুনতে পাননি চিৎকার, পাঁচিল চাপা পড়ে প্রাণ গেল বধির প্রৌঢ়ের]

ব্যবসায়ীদের কথায়, রাজ্যে বর্ধমান, আরামবাগ, হুগলি, বীরভূম, হাওড়া, মেদিনীপুরে এবার ধানের ভালই ফলন হয়েছে। তা সত্ত্বেও রপ্তানি বেড়ে যাওয়াতেই চালের দামটা বাড়ছে। পোস্তার এক চাল ব্যবসায়ী জানান, শুক্রবার যেখানে পাইকারি বাজারে এক কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৪১ টাকা, সেই চালই খুচরো বাজারে ৪৮-৫০ টাকায় বিকিয়েছে। স্বর্ণ চাল একটু মোটা। পাইকারি বাজারে এই চালের দাম ২৫ থেকে সাড়ে ২৫ টাকা। সেটাই খুচরো বাজারে ৩৬-৩৮ টাকায় বিকোচ্ছে।

অর্থাৎ পাইকারির সঙ্গে খুচরো বাজারে চালের ফারাক থেকে যাচ্ছে ১০-১২ টাকা। সব চালই তাই। যত দামি চাল, পাইকারির সঙ্গে খুচরো বাজারে ততই তার দামের ফারাক বেশি। তবে বাজারভেদে দামের ফারাক রয়েছে। পোস্তাবাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার চালের উৎপাদন ভালই হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশে প্রচুর চাল রপ্তানি হয়েছে। তাতেই দাম বেড়েছে এ রাজ্যে।”

মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদারের কথায়, “চাষিরা এবার ভাল দাম পেয়েছেন। আর সাধারণ মানুষকে তো সরকারের তরফে রেশনে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হয়। চাষিদের কথাটাও তো ভাবার দরকার।”

[আরও পড়ুন: জমা জলে মৃত্যুফাঁদ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হরিদেবপুরে প্রাণ গেল কিশোরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement