রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বামফ্রন্ট। কিন্তু জনসংযোগ নতুন করে গড়ে তুলতে করোনা মোকাবিলায় ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’ (Red Volunteer) তৈরি করেছে সিপিএম। মিলছে সাফল্যও। এবার সিপিএমের পালটা এল তৃণমূলের ‘নীল ওয়ারিয়রস’ (Blue Warriors)। এলাকার উৎসাহী যুবক যুবতীদের সঙ্গে নিয়ে এই ‘নীল যোদ্ধা’ বাহিনী তৈরি করে ফেলেছেন হাওড়া পুরসভা ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরী। এক মাসও হয়নি নীল যোদ্ধাদের বয়স। তার মধ্যেই তৃণমূলের নীল যোদ্ধারা করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে এলাকায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই টিমে যোগ দিয়েছেন ১৭ জন যুবক-যুবতী।
কোভিভ আক্রান্ত মানুষকে হাসপাতালে ভরতি করা থেকে শুরু করে সেফ হোমে পাঠানো, আইসোলেশনে থাকা আক্রান্ত মানুষকে বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে ওষুধ, খাবার পৌঁছে দেওয়া, কিংবা আক্রান্ত মানুষের বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে আসা সমস্ত কাজ হাসিমুখে করছেন তৃণমূলের নীল যোদ্ধারা। তাতেই এসেছে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। রাজনৈতিক মহল বলছে, সাধারণ মানুষের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন তৃণমূলের নীল যোদ্ধারা।
[আরও পড়ুন: বাবা-মাকে তাড়িয়ে দেওয়ার ‘শাস্তি’, হাই কোর্টের রায়ে ঘরছাড়া পুত্র-পুত্রবধূই]
সৈকত চৌধুরীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাওড়ার তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী অরূপ রায় থেকে শুরু করে দক্ষিণ হাওড়ার বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী-সহ আরও অনেকেই। নীল যোদ্ধাদের কাজে প্রশংসা করেছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। এ বিষয়ে সৈকত চৌধুরী জানান, “আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে কাউন্টার করার জন্য নীল ওয়ারিয়রস তৈরি করিনি। করোনা পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এই কাজ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এত বিপুল সাড়া পাব তা আগে ভাবিনি। এই কাজে উৎসাহিত হয়ে আরও অনেক যুবক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কাজ করার জন্য। তাতে আমরা উৎসাহিত হচ্ছি।” হাওড়া পুরসভার ৬৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নীল যোদ্ধারা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। এই সাফল্য দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যান্য ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরাও।