ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: শৃঙ্খলারক্ষায় কড়া তৃণমূল। বেফাঁস মন্তব্যের জেরে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল দল। তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, "শুনেছি আমাকে শোকজ করা হয়েছে। হাতে আমি কোনও চিঠি পাইনি।"
অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আগামিদিনে উপ-মুখ্যমন্ত্রী এমনকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসানোর দাবি করে আগেই দলে সমালোচিত হয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর মতো অনেকেই বিগতদিনে বহু বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলে রিপোর্ট গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এসব বন্ধ করতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তিন দফা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসবের কোনও তোয়াক্কা কার্যত না করেই মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে নাগাড়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন হুমায়ুন। বলেন ,"বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে যাঁরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ আগামিদিনে অন্ধকার হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে কয়েকজন ঘিরে রয়েছেন, তাঁদের নিজেদের পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতটা ভালো চান, দীর্ঘমেয়াদিভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক হিসাবে তাঁকে দেখতে চান, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।"
আরও একধাপ এগিয়ে হুমায়ুন বলেন, "তৃণমূল যদি আগামিদিনে আমাকে টিকিট না দেয়, বেঁচে থাকলে অপকর্মের জবাব দেব।" নাম না করে নিশানা করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও। একের পর এক বিতর্কির মন্তব্যের জেরে এবার শোকজ করা হল হুমায়ুনকে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে। এবিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, "শুনেছি আমাকে শোকজ করা হয়েছে। হাতে আমি কোনও চিঠি পাইনি।" উল্লেখ্য, সোমবারের কর্মসমিতির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পর পর ৩ বার শোকজের জবাব না দিলে সাসপেন্ডের পথে হাঁটবে দল। এবার হুমায়ুন কবীর কী করেন, সেদিকেই নজর সকলের। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক।