ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লক্ষ্য উন্নয়ন। অযথা বিজেপিকে আক্রমণ নয়। হিংসার কথা নয়। স্রেফ আরও উন্নয়ন রাজ্যের। সেই ওয়ান পয়েন্ট এজেন্ডা নিয়েই তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় ফিরতে চায় তৃণমূল (TMC)। দলীয় ইস্তেহারেও তাদের সেই লক্ষ্যের কথাই লিখে ফেলেছে শাসকদল। নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেরার অপেক্ষা। তার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে দেওয়া হবে সেই ইস্তেহার।
তৃণমূল সূত্রে ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এবারের ইস্তেহার (Election Manifesto) তৈরির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দলের শীর্ষনেতাদের মতামতের উপরই ভিত্তি করা হয়নি। সমাজের বিশিষ্টদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। সমাজের নানা সম্প্রদায়ের মানুষের কথা ভেবে গত দশ বছরে নানা প্রকল্প নিয়েছে সরকার। তাদের উপকারিতা সমাজের নানা অংশে কতটা পৌঁছেছে, বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে সেই পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আর কী রয়েছে তাতে?
[আরও পড়ুন: ফের আসন নিয়ে জটিলতা, কাশীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী দিল বাম-কংগ্রেস দুই জোট শরিকই]
গত দশ বছরে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথীর মতো প্রকল্প তো বটেই, করোনা ও আমফান পর্বে যে লড়াই চালিয়েছে রাজ্য এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, সে সবও ইস্তেহারে থাকছে বলে দলের শীর্ষনেতৃত্বের তরফে জানা গিয়েছে। ভোটের কাছাকাছি এসে একেবারে শেষ পর্বে দুয়ারে সরকার আর পাড়ায় সমাধানের মতো দু-দুটি শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার মাধ্যমে অসংখ্য রাজ্যবাসীর বহু দাবি-দাওয়া মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতি বছর দু’বার করে সেই শিবির হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন। চালু করা হয়েছে গরিবের জন্য পাঁচ টাকার মা-ক্যান্টিন। যার মাধ্যমে গরিবের জন্য দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। উন্নয়নের এই খতিয়ানই দলীয় ইস্তেহারে তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad hakim) এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “রাজ্য সরকার লাগাতার মানুষের উন্নয়নে বিশ্বাসী। সেই প্রসঙ্গই দলীয় ইস্তাহারে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।”
[আরও পড়ুন: করোনার নয়া স্ট্রেনের আতঙ্ক, বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের দাবিতে পথে নামছেন যৌনকর্মীরা]
একুশের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান শত্রু বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াই। দলীয় নানা বৈঠকে সে কথা নেতৃত্বের মুখে উঠেও এসেছে। সেই লড়াইয়ে দলের নানা কৌশলও রয়েছে। তবে সেই প্রসঙ্গ দলীয় ইস্তেহারে থাকছে না। তার কারণ হিসাবে ফিরহাদ বলেছেন, “দল রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এসে আরও উন্নয়নের কথা ভাববে। নানা পরিকল্পনাও স্বাভাবিকভাবেই থাকছে।” একইসঙ্গে বিজেপির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপির হিংসার কথা আমাদের ইস্তেহারে থাকছে না। শুধুশুধু তাদের আক্রমণের পথে গিয়ে আমরা নিজেদের লক্ষ্য থেকে সরছি না। আমাদের ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা।”