নব্যেন্দু হাজরা: উত্তরের কলেজ স্ট্রিটের (College Street) মতো আরেকটা বইপাড়া এবার মাথা তুলবে দক্ষিণেও। পরিত্যক্ত ট্রামের কামরায়। একদিকে বাতিল ট্রাম কাজে লাগানো, অন্যদিকে দূর-দূরান্ত ছড়িয়ে থাকা পুস্তকপ্রেমীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে টালিগঞ্জ ট্রামডিপোয় এই নতুন বইপাড়া গড়ে তোলার পরিকল্পনায় শামিল হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর ও ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’। আড়ে-বহরে কলেজ স্ট্রিটের মতো অতটা বড় না হলেও শহর-শহরতলির বইপিপাসুদের চাহিদাপূরণে তা অনেকটাই সমর্থ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর চেহারাটা কীরকম হবে? প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, একেকটি কামরায় একেকটি বুক স্টল হবে। মানে একটি ট্রামে দু’টি দোকান। প্রথম ধাপে গোটা দশেক ট্রামকে বাছা হচ্ছে বইয়ের দোকান দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে তা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া ট্রামের কামরাতেই ক্রেতাদের জন্য তৈরি হবে ক্যাফেটেরিয়া। যাতে বই কিনতে গিয়ে সেখানে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন ক্রেতারা। তৈরি করা হবে সুলভ শৌচালয় থেকে আরও অনেক কিছু। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, একেবারে ভোল পালটে যাবে ডিপোর। বৃহস্পতিবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর (Tollygunge Tram Depot) হাল-হাকিকত ঘুরে দেখে আসেন দপ্তরের আধিকারিকরা। আগামী মঙ্গলবার গিল্ডের প্রতিনিধিরা পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো পরিদর্শনে যাবেন।
[আরও পড়ুন: মা চেয়েছিলেন সরকারি চাকরি, ভুয়ো রেলকর্মী সেজে তোলা আদায় করতে গিয়ে গ্রেপ্তার যুবক]
ট্রাম মিউজিয়াম, মিষ্টি হাব, ট্রার্ম ওয়ার্ল্ড, টায়ার পার্ক অনেক কিছুই হয়েছে শহরের নানা ট্রাম ডিপোয়। আর তার মধ্যে নবতম সংযোজন হতে পারে বইপাড়া। পড়ে থাকা ট্রামেই তৈরি হবে বইয়ের স্টল। তবে শুধু টালিগঞ্জেই নয়, যদি এখানকার বইপাড়া জনপ্রিয় হয়, তবে বেহালা ট্রাম ডিপোতেও একই কায়দায় বইয়ের দোকান দেওয়া হবে। বছরান্তে ট্রামের কামরা বাবদ পরিবহণ দপ্তরকে ভাড়া দিতে হবে দোকানের মালিককে। সেই পরিমাণও এখনও ঠিক হয়নি।
দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বিষয়টি এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে গিল্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আধিকারিকরা ওই ডিপো গিয়ে ঘুরে দেখে এসেছেন। ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর যুগ্ম সম্পাদক সুধাংশু দে বলেন, “ওখানে বইপাড়া তৈরির বিষয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী মঙ্গলবার আমরা টালিগঞ্জ ট্রামডিপোয় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।”