অভিরূপ দাস: গলা ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল ত্রিশূলের তীক্ষ্ম ফলা। সেই অবস্থাতেই ভোররাতে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (NRS Medical College) ছুটে এসেছিলেন কল্যাণীর যুবক। দেখেই শিউড়ে উঠেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে এও বুঝেছিলেন, তড়িঘড়ি অপারেশন না করা হলে প্রাণ বাঁচানোই অসম্ভব। ফলে ইএনটি (ENT)বিভাগে ভোররাতেই ওটি রেডি করে ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারে হাত লাগান চিকিৎসকদের একটি দল। আর সাফল্যের সঙ্গেই যুবকের গলা থেকে ত্রিশূলটি বের করে আনেন তাঁরা।
ঘড়িতে সময় তখন ভোর ৩টে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটতে ছুটতে এনআরএসে আসেন এক যুবক। তাঁকে দেখেই চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা। ত্রিশূলের (Trident) ধারাল ফলা ঢুকে গিয়েছে তাঁর গলায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। ইএনটি বিভাগের ডাক্তার সুতীর্থ সাহার নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়। দলে ছিলেন এক অ্যানাস্থেশিস্ট-সহ আরও দুই ডাক্তার। ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনে খুঁটিনাটি পরামর্শ দেন প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া কমাতে হবে, নতুন গাইডলাইনে চিকিৎসকদের পরামর্শ ICMR-এর]
অবশেষে কঠিন অস্ত্রোপচারে তাঁর গলা থেকে ত্রিশূলটি বের করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যুবকের গলার ক্ষত অনেকটা নির্মূল করা গিয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহলে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু ভয় না পেয়ে তড়িঘড়ি অপারেশনের সিদ্ধান্তেই প্রাণ বেঁচেছে যুবকের। কীভাবে তাঁর গলায় ওই ত্রিশূল ঢুকে গেল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। জ্ঞান ফিরলে এ বিষয়ে তাঁর থেকে জানতে চাইতে পারেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশ ‘নির্বিঘ্নে’ পালনের সুযোগ করে দেবে আওয়ামি লিগ!]
এর আগেও একাধিকবার কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে বহু ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হয়েছে। প্রাণ বেঁচেছে অনেকের। তবে এই ঘটনা বিরল বলেই খবর চিকিৎসক মহলে। ভোররাতে এত দ্রুত মেডিক্যাল টিম তৈরি করে এতটা ঝুঁকির অপারেশন এবং সাফল্য কিছুটা নজিরবিহীন।