সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে বৈঠকে নিয়োগের বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন এসএসসির (SSC) বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। কমবেশি ৬ হাজার পদে নিয়োগের আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা। কিন্তু কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী, কবে মিলবে চাকরির নিয়োগপত্র? বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন ব্রাত্য।
রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, “সবাইকে নিয়োগ করতে হলে নতুন পদ তৈরি করতে হবে। কত শূন্যপদ প্রয়োজন, তা এসএসসিকে জানাতে বলেছি।” তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, “শূন্যপদ তৈরি করতে হলে অর্থদপ্তরের অনুমতি দরকার। অনুমতি লাগবে মন্ত্রিসভার। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন।” ফলে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলেও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র হাতে পেতে বেশ অনেকটা সময় লাগবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘দ্রুতই মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ হবে’, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশ্বস্ত আন্দোলনকারীরা]
২০১৬ সালে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (School Service Commission)। তারপর লাল ফিতের ফাঁস কাটিয়ে একাধিক দপ্তরের অনুমতি মেলার পর তৈরি হবে নতুন শূন্যপদ। সব প্রক্রিয়া মিটলে তবেই চাকরিপ্রার্থীদের হাতে আসবে নিয়োগপত্র। যদিও রাজ্য প্রশাসন দ্রুত এই প্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছে। গত সপ্তাহে ব্রাত্য বসু নিজে জানিয়েছেন, অতি দ্রত মোট ২১ হাজার পদে নিয়োগ করা হবে । পুজোর আগেই শুরু হবে প্রক্রিয়া। ২১ হাজার পদের মধ্যে থাকছে আপার প্রাইমারি, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশের প্রধান শিক্ষক ও নতুন শিক্ষক।
নিয়োগের দাবিতে পাঁচশো দিনেরও বেশি সময় ধরে শহরের নানা জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন ২০১৬-র এসএসসিতে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীরা। সম্প্রতি এসএসসি-র দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর, বিশেষত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর থেকে তাঁদের প্রতি সহমর্মী হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। গত ২৯ জুলাই ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তাঁদের এক প্রতিনিধিদলকে ডেকে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই জানা যায়, আগামী ৮ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করবেন এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার সেই বৈঠক হয়।
[আরও পড়ুন: ‘চোর, গরুচোর’, SSKM থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতকে লক্ষ্য করে স্লোগান রোগীর আত্মীয়দের]
বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থী শহিদুল্লা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “সদর্থক আলোচনা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মেধাতালিকাভুক্ত কমবেশি ৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিয়োগ করা হবে।” কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশকিছুটা সময় লাগবে বলেই ধারনা ওয়াকিবহাল মহলের।