গৌতম ব্রহ্ম ও নব্যেন্দু হাজরা: বিশ্বভারতীর নামফলকে নেই কবিগুরুর নাম। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিতর্কিত ফলক সরিয়ে ফেলার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বেঁধে দিয়েছিলেন সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। তাতেও কাজ হয়নি। এবার সরাসরি কেন্দ্রের কাছে ওই ফলক সরানোর দাবি জানালেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আত্মপ্রচারমূলক নামফলক সরিয়ে ফেলা কেন্দ্রের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে ফের একবার ওই নামফলক নিয়ে সরব হন মমতা। লেখেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন বিশ্বের কাছে ঐতিহ্যবাহী স্থান। সেখানকার বর্তমান কর্তৃপক্ষ যে স্মারকফলক সাজিয়েছে, সেখানে উপাচার্যের নাম দেখা গেলেও কবিগুরুর নাম দেখা যাচ্ছে না। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছে। অবিলম্বে এই আত্মপ্রচারমূলক ফলক সরিয়ে কবিগুরুকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হোক। কেন্দ্রের জন্য সেটাই বুদ্ধিমানের মতো পদক্ষেপ হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমার নাম বলতে PA-কে চাপ দিচ্ছে’, ইডির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুজিত বসুর]
গত মাসেই শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। তাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি পদক্ষেপ যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করে। ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথেরই (Rabindranath Tagore) নাম! সেখানে লেখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। আর এতে স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ শান্তিনিকেতনবাসী। এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলছে আন্দোলনও।