সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা রাজ্য। দফায়-দফায় আন্দোলনে নেমেছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। প্রাক স্বাধীনতার রাতে 'রাত দখল' কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের মহিলারা। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তাঁর খোঁচা, "বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। ভেবেছেন সেই ঘটনা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারেন। শুনে রাখুন, আমার ক্ষমতার মায়া নেই।"
বুধবার বেহালার প্রাক স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই আর জি কর কাণ্ডে বিরোধীদের লাগাতর আক্রমণ, তাদের আন্দোলন এবং সোশাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা পুলিশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "বলুন, কোন অ্যাকশনটা আমরা নিইনি? ১২ ঘণ্টার মধ্যে আসল খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ১৬৪ জনকে কাজে লাগিয়েছিল। গত একমাসের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। রবিবার অবধি সময় দিয়েছিলাম। তার আগেই সিবিআইয়ের হাতে গেল মামলা। রবিবারের মধ্যে মামলার কিনারা হোক। আমরা ফাঁসি চাই।" মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, "আমি যখন খবরটা পেলাম তখন আমি ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছি। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেছিলাম। মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললাম। সারা রাত ঘুমোতে পারিনি।" পুলিশের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেও প্রশংসা করেন তিনি। স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রশংসা করে তিনি জানান, "তদন্ত করতে বলেছিলাম স্বাস্থ্যভবনকে। একধার থেকে চারজনকে বদলি করে দিয়েছি। তদন্ত করতে সময় লাগে।"
[আরও পড়ুন: ‘অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে!’ আর জি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক বিজেপি]
এর পরই বাম জমানার 'কুকীর্তি' নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। তুলে আনেন অনিতা দেওয়ান গণধর্ষণ, বর্ণালি দত্ত ধর্ষণ, আনন্দমার্গী হত্যাকাণ্ডের কথা। মুখ্যমন্ত্রী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের ফাঁসির ঘটনার উল্লেখও করেন। সেই প্রসঙ্গে টেনে মমতা বলেন, " প্রমাণ ছাড়া নির্দোষকে কীভাবে গ্রেপ্তার করব? ধনঞ্জয়ের ঘটনা মনে আছে তো? ধনঞ্জয়ের ঘটনায় যা হয়েছিল, তা যেন আর না হয়। মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন বিলাপ করেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাঁকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।" উন্নাও-হাথরাস কাণ্ড তুলে ধরে তোপ দেগেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। ইন্ডিয়া জোটের শরিক কংগ্রেসও খোঁচা দিয়েছেন মমতা। এর পরই বাম-রামের আন্দোলনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা।
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, "আমাকে যা ইচ্ছা বলুন, কিন্তু বাংলা মাকে অসম্মান করবেন না। এমন একটা ঘটনায় মৃতার আত্মার শান্তি কামনা করুন। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। রাজনীতি করবেন না। কিছু রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছেন। মমতাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। কিছুদিন যাক বুঝতে পারবেন, আসল রহস্য কী ছিল।" এর পরই বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বিরোধীদের 'ষড়যন্ত্রে'র তুলনা টানেন। পরিশেষে তাঁর সংযোজন, "