সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই অভিযোগের মাঝে রাজ্যের ঋণ নিয়ে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারকে যাতে আর ঋণ দেওয়া না হয়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে সে আরজিও জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য এই ইস্যুতে শুভেন্দুকে পালটা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল।
গত ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সেই সময় থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ঠিক কত টাকা ঋণের বোঝা ঘাড়ে চেপেছে রাজ্যের, তা একটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে টুইটারে প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি অনুযায়ী, প্রতি বছর ১ লক্ষ কোটি টাকা করে বেড়ে বর্তমানে রাজ্যের ঋণের বোঝা ৬ লক্ষ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: এবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকে মিলবে আরও দু’টি পরিষেবা, কী জানেন?]
রাজ্যের অর্থসচিব, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং রিজার্ভ ব্যাংক-কে ট্যাগ করা ওই টুইটে শুভেন্দুর আরও দাবি, রাজ্য সরকার আরও ১০ হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে। ওই টাকা রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে প্রয়োজন বলেও দাবি করা হয়েছে। ওই ফাইলটি বর্তমানে ইন্টারনাল ফিন্যান্সে দিল্লির নর্থ ব্লকে আটকে রয়েছে। শুভেন্দু মনে করেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঋণ অনুমোদন না করলে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তারাও টাকা পাবেন না বলেই দাবি শুভেন্দুর।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে ঋণ অনুমোদন না করার আরজিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ঋণ মঞ্জুর করা হলে তা কোষাগারের অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছু নয় বলেও দাবি তাঁর। আয়বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রাজ্যকে পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর এই টুইট নিয়ে স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক মহলে জোর তোলপাড়। কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। রাজ্যের ঋণ সংক্রান্ত হিসাবনিকেশের তথ্যসূত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যকে বদনাম করতেই শুভেন্দুর এহেন টুইট, দাবি ফিরহাদের।