সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেট শুরুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। তবে পর্ষদ যেকোনও ষড়যন্ত্র রুখতে তৎপর তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ময়দানে খোদ পর্ষদ সভাপতি। রবিবার পরীক্ষা চলাকালীন পরপর পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গৌতম পাল।
রবিবার নির্ধারিত সময়মতো বেলা বারোটা থেকে শুরু হয় প্রাথমিক টেট। পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছুক্ষণ পর পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে বেরোন পর্ষদ সভাপতি। প্রথমে বিধাননগর গর্ভমেন্ট হাইস্কুলে যান তিনি। তারপর সেখান থেকে একে একে বিধাননগর কলেজ, সল্টলেকের ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়, বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্কুল ও লবণহ্রদ বিদ্যাপীঠে যান। পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন তিনি।
[আরও পড়ুন: হাজার ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও নির্বিঘ্নেই TET, পরীক্ষা শুরু হতেই পর্ষদকে দরাজ সার্টিফিকেট ব্রাত্যর]
এর আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌতম পাল। তাঁর আশঙ্কা, “কেউ কেউ বাইরে থেকে পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করতে পারেন।” তাঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলেও, কে বা কারা পরীক্ষা বানচাল করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু খোলসা করেননি। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্ষদ এবং প্রশাসন সতর্ক বলেও জানান পর্ষদ সভাপতি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তারই মাঝে পাঁচ বছর পর রবিবার টেট। পরীক্ষা সফল করা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে চালু করা হয় কন্ট্রোল রুমও। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পর্ষদের ব্যবস্থাপনায় খুশি বলেই জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। সবমিলিয়ে টেট যে প্রায় পুরোমাত্রায় সফল হয়েছে, তা বলাই যায়।