গোবিন্দ রায়: সৌদি আরবে বসে পঞ্চায়েতে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সেই মনোনয়ন বাতিল করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে এমনটাই জানাল কমিশন। জানিয়েছে, “তদন্ত করে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন বাতিল করেছি।” তবে এই ঘটনাকে ‘তদন্তযোগ্য অপরাধ’ বলেই মনে করছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার। রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে।
মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি। মামলাকারীর আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামীম আহমেদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (West Bengal Panchayat Election 2023) বিজ্ঞপ্তি জারির দিন মইনুদ্দিন গাজি দেশ ছাড়েন। হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুন সৌদি আরবে যান। তাঁর ১৬ জুলাই রাজ্যে ফেরার কথা। প্রার্থী অনুপস্থিত হলেও মনোনয়নপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। প্রার্থী সৌদি আরবে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মইনুদ্দিন, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম। মামলাকারীদের অভিযোগ, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বিশেষ কারণে কাটোয়ার প্রচারে যাচ্ছেন না সায়নী]
সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কমিশন। তদন্তের পর তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছে কমিশন। সেই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “এটা তদন্তযোগ্য অপরাধ। পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের এই কার্যকলাপ যথেষ্ট সন্দেহজনক। যে ব্যক্তি এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে, সে খুব ক্যাজুয়ালি তা নিয়েছেন। এমনকী, স্ক্রুটিনিটাও ঠিক মতো হয়নি।” সিসিটিভি-সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে ঘটনার তদন্তভার কোন সংস্থার হাতে যাবে তা নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। ১৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন আদালতে মামলকারীর আইনজীবী বলেন, “ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে বলে আমরা মনে করছি। এই ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন আছে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তদন্ত প্রয়োজন। কমিশন বর্তমানে এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে। তবে, এই ঘটনা অনেক কিছু ইঙ্গিত করছে। আমরা এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে কেউ অভিযোগ নেয়নি।”