সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে গরমে রক্ষে নেই, লোডশেডিং দোসর। তীব্র দাবদহের মাঝেই বারবার লোডশেডিং হওয়ায় নাজেহাল অবস্থা কলকাতাবাসীর। শ্রীরামপুর, বারাকপুর, দমদম-সহ একাধিক এলাকাতেও একই ছবি। আর এই কারণেই আবারও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়লেন সিইএসসির আধিকারিকরা।
সোমবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে সিইএসসির উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অরূপ বিশ্বাস এবং বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু। এক মাসের মধ্যে লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে তৃতীয়বার বৈঠকে বসলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। বিগত কয়েকদিন ধরে সিইএসসির অধীনস্ত কলকাতা, হাওড়া, শ্রীরামপুর, বারাকপুর, দমদম-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন অরূপ বিশ্বাস।
[আরও পড়ুন: একইদিনের দ্বিতীয়বার, ফের বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদে! উড়ল TMC সমর্থকের বাড়ির চাল]
ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলে দেন, “আপনাদের জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এর পর যেন আর কোনও অভিযোগ আমার কাছে বা আমার দপ্তরের কাছে না আসে।” একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানের পথও বাতলে দেন তিনি। সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে টেকনিক্যাল টিম এবং ম্যান পাওয়ার বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। একই সঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাবতীয় সমস্যা মেটানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য়, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। বারবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ায় তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন আমজনতা। বিদ্যুৎ ভবনে জমা পড়েছে প্রচুর অভিযোগ। এরই মধ্যে গত শনিবার বিবৃতি জারি করেছিল CESC। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, “আমাদের শহর অপ্রত্যাশিত এক তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে। তার ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের সমস্ত মূল্যবান গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে আবেদন জানাচ্ছি যে আপনাদের এয়ার কন্ডিশনারগুলি বিবেচনার সঙ্গে ব্যবহার করুন এবং লোড ব্যবহার অনুমোদিত পরিমাপের মধ্যে রাখুন।”