সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাস ডেস্ক: সাতদিনের বিলেত সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দলের রাশ কাদের হাতে থাকবে, তা ঠিক করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার অনুপস্থিতিতে দলের যে কোনও প্রয়োজনে কর্মীরা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির দ্বারস্থ হতে পারেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন মমতা।

নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আমাদের ফোন অলওয়েজ অ্যাভেলেবল থাকবে। তবুও যদি কোনও প্রয়োজন হয় তাই। দলের ব্যাপারটা আপনারা জানেন, সুব্রত বক্সি আছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, ওদের সঙ্গে অন্যরাও আছেন। তাঁরাই দলকে দেখে রাখবেন।" তিনি আরও সংযোজন করেন, "এটা ভাগ করে দিয়ে যাচ্ছি এই কারণে, আসলে অনেক সময় প্রবলেম হয় তো, তখন কে কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, এই ব্যাপারটা ম্যাটার করে।" তিনি আরও বলেন, "কোনও প্রয়োজন হলে ওরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনও পলিসিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, নবান্নের দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যের ৫ মন্ত্রী-মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম। তাঁদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের নেতৃত্বে পুলিশকর্তাদের নজরদারিতে কয়েকদিন প্রশাসনিক কাজের ভার নিতে হবে আমলাদেরও। এছাড়া দুই পুলিশকর্তা রাজীব কুমার ও মনোজ বর্মা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কড়া নজরে রাখবেন। জেলাগুলির দায়িত্বও তাঁদের উপর। সেইসঙ্গে তিন আমলা – নন্দিনী চক্রবর্তী (স্বরাষ্ট্রসচিব), প্রভাত মিশ্র ও বিবেক কুমারকেও বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন। বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি লন্ডন সফরে থাকাকালীন রাজ্যের সমস্ত কোনায় কোনায় যাতে সকলে নিরাপদে, শান্তিতে থাকতে পারেন, তা ভালোভাবে নজরে রাখতে হবে।
রাজনীতির কারবারিদের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল এবং প্রশাসন দুটো ক্ষেত্রই সুদক্ষভাবে নিজ হাতে চালনা করেন। সাতদিনের বিদেশ সফরে তিনি বাংলায় না থাকলেও দল এবং প্রশাসনের কাজ তো আটকে থাকবে না। আর দু'টো ক্ষেত্র সম্পূর্ণ আলাদা। তাই নিজের অনুপস্থিতিতে দল এবং প্রশাসনকে সুচারুভাবে পরিচালনার স্বার্থেই 'টাস্ক ফোর্স' গড়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।