কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ১০ কোটি টাকার লোন (Loan) পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা। ৪২ লক্ষ টাকা খুইয়ে লেকটাউন থানার দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। প্রতারণা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তকে জেরা করার ভাবনা পুলিশের। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা আশিস মাইতির সঙ্গে পরিচয় হয় অমিত কুমার সাউ নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির। তিনি নিজেকে হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বলে দাবি করে। ওই ব্যক্তি আশিস মাইতিকে বলেন, তিনি চাইলে ব্যবসায়িক লোন পাইয়ে দিততে পারে। তারপর থেকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে আশিস মাইতির কাছ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত একাধিকবার টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শহরের বিভিন্ন হোটেলে ডেকে প্রথমে ১১ লক্ষ ও পরে ৩২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। কিন্ত কোনও লোন পাননি আশিস মাইতি।
[আরও পড়ুন: কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল ‘রাক্ষস’ ছেলে! প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে থানায় পুরকর্মী]
৪২ লক্ষ টাকা খুইয়ে বুঝতে আশিস মাইতি বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর গত ২৩ জুলাই লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৯ জুলাই অমিত কুমার সাউকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত বলে আগেই সন্দেহ হয় পুলিশের, সেই অনুযায়ী টানা জেরা চালিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই সামনে আসে রাহুল শর্মার নাম। জানা গিয়েছে, এই আর্থিক প্রতারণা চক্রের সে-ই মূল পাণ্ডা। এরপর দিল্লি থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। মূলত দিল্লি (Delhi) থেকেই তারা কলকাতার ব্যবসায়ীদের প্রতারণা করত বলেই জানা গিয়েছে। সোমবার তাকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রাহুলকে জেরা করলে আরও কারও নাম সামনে আসতে পারে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের।