shono
Advertisement

পাছে লকডাউন হয়! ভোটের উত্তাপেই দুগ্গা চললেন সিডনি, পুজোর বাদ্যি কুমোরটুলিতে

ভোটের মধ্যেই পুজোর গন্ধ কুমোরটুলিতে।
Posted: 09:09 PM Apr 02, 2021Updated: 09:09 PM Apr 02, 2021

নব্যেন্দু হাজরা: ভোটের উত্তাপে সরগরম বাংলা। আর সেই উত্তাপ গায়ে মেখেই মা দুগ্গা চললেন সিডনি। ভোটের মধ্যেই পুজোর গন্ধ কুমোরটুলিতে। তৈরি হয়ে গিয়েছে মূর্তি। এবার শুধু জাহাজে চড়ে যাওয়ার পালা। একেবারে অন্যরকম দেখতে মা দুগ্গা। কালো ব্যাগগ্রাউন্ড। কালো শাড়িতে মা যেন একেবারে ঘরের মেয়ে। দু’পাশে দাঁড়ানো কার্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী। মা দুগ্গা ৯ ফুট লম্বা তাঁর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ১৪ ফুট চওড়া। পুরো প্রতিমাই বানানো হয়েছে ফাইবার দিয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কলকাতার চাঁদনি চকের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা]

পাছে যদি আবার গতবারের মতো লকডাউন নেমে আসে কপালে, তাই আগেভাগেই প্রতিমার অর্ডার এবার কুমারটুলিতে। প্রতিমা চলেও যাচ্ছে জাহাজে চেপে পুজোর অনেক আগেই। শিল্পী কৌশিক ঘোষের কথায়, প্রতিবারই অর্ডার আসে বিদেশ থেকে। তবে এবার একটু আগেই ইউএসএ এবং কানাডাতেও ঠাকুর চলে গিয়েছে। এবার যাচ্ছে সিডনি।

কিন্তু এত তাড়াতাড়ি কেন ঠাকুর যাচ্ছে বিদেশে? শিল্পী জানান, এখন নিয়ে রেখে দেবেন ওখানকার উদ্যোক্তারা। পুজোর সময় পুজো হবে। গতবার তো লকডাউনের কারণে বহু জায়গায় পুজোও হল না। ঠাকুরও গেল না। তাছাড়া ওখানে তো আর বিসর্জনের দিন জলে ফেলা হয় না ঠাকুর। ওই ঠাকুরই আবারও পুজো হয়। ফলে পুজোর দু’দিন আগেই যে প্রতিমা ঢুকবে তেমন ব্যাপার নেই। আগেভাগেই তাই ঠাকুর রওনা হচ্ছে। ইতালি থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে দুবাই। প্রতিবছরই পুজোর আগে প্রতিমা যায় কুমারটুলি থেকে। গতবছর লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতিতে সেভাবে পুজো হয়নি বিদেশে। প্রতিমাও গিয়েছে কম। এবার তাই আগেভাগেই প্রতিমা নিয়ে নিচ্ছেন প্রবাশী বাঙালীরা। জাহাজে করে সিডনি যেতে মাস দেড়েক সময় লাগবে। অন্তত তেমনটাই জানান শিল্পী।

কৌশিকের আঙিনায় দেখা মিলেছে সিডনির পথে পাড়ি দেওয়া ফাইবারের প্রতিমার। দেখলে কে বলবে, এি মা মৃন্ময়ী নন! মুখ জুড়ে লাবণ্যের ঢল। গায়ে গয়না, শাড়ি। মাথায় মুকুট। দশ হাতে দশ অস্ত্র নিয়ে দশপ্রহরণধারিণী। শিল্পীর কথায়, এখন একটু কাজের চাপ কম। তাই এখন অর্ডার এলে ভালোই আস্তে-ধীরে করে ফেলা যায়। এই দুর্গাকেও একেবারে স্যানেটাইজার মাখিয়ে পাঠানো হচ্ছে বিদেশ-বিভুঁইয়ে। কৌশিকবাবু মূলত প্রবাশের জন্যই প্রতিমা বানান। বললেন, “প্রতিবারই ইংল্যান্ড, দুবাই, ইতালি সিঙ্গাপুর থেকেও অর্ডার আসে। এবারও কথাবার্তা চলছে। আস্তে আস্তে কাজকম্মও এগোচ্ছে।” তবে তিনি যখন প্রতিমা বানানোয় মগ্ন। তখন আরেক চিত্র আছে কুমোরটুলিতেই। বহু মৃতশিল্পীর মনে এখনই আশঙ্কার মেঘ জমা হতে শুরু করেছে। করোনা যেভাবে বাড়ছে, ফের ভোটের পর লকডাউন হয়ে যাবে না তো বাংলায়! ফের গতবারের ভয়াবহ স্মৃতির পুনরাবৃতি হবে না তো এবার পুজোয়।

[আরও পড়ুন: কলকাতার চাঁদনি চকের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement