সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে মমতা বনাম অভিষেক-এই প্রশ্নে শাসক দলের একেকজন নেতার এক একরকম মন্তব্যে শোরগোল ছড়িয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। তার মধ্যেই সোমবার টিএমসির প্রতিষ্ঠা দিবসে চাকরি দুর্নীতিতে শাসক শিবিরের কারও কারও জড়িত থাকার কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী বলেন, “কেউ কেউ টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, চুরি হয়েছে, এটা সত্যি। কিন্তু সবাই চুরি করেননি।”
একইসঙ্গে দলীয় নেত্রীর প্রসঙ্গ টেনে তাঁর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি করেননি, করেন না, করতে পারেন না। তিনি সততার প্রতীক। তিনি এমন দুর্নীতি সহ্য করবেন না।” এমনকী তাঁকে আবেগপ্রবণ হয়ে একথাও বলতে শোনা যায়, “টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার মতো অসৎ কাজ করা আর মায়ের মাংস কেটে খাওয়া একই ব্যাপার!” নিঃসন্দেহে খোদ শীর্ষ মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য ক্ষমতাসীন দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার মতো, যা বিরোধী শিবির অস্ত্র করে তুলতে পারে।
[আরও পড়ুন: বহুজাতিক সংস্থাকে টেক্কা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর, সরস মেলায় বিপুল লক্ষ্মীলাভ নমিতাদের]
ফিরহাদের দাবি, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেস একটা সংসার। কিছু মানুষ নিশ্চিত ভাবে অন্যায় করেছেন। দুর্নীতি করেছেন, কিন্তু তা বলে আমরা সবাই নই। হ্যাঁ, আমার বাড়িতেই তো সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। তবে চেতলার বুকে কোনও মানুষ দাঁড়িয়ে আজ বলতে পারবে না, ফিরহাদ হাকিম দুর্নীতি করেছেন। ২৫ বছরে কোনও কাউন্সিলর, কোনও প্রমোটার, কারও কাছ থেকে হাত পেতে একটা পয়সা নিয়েছেন।”
এহেন আবহেই পালটা কুণালের মন্তব্য, “দুর্নীতি যখন হয়েছিল, তখন বাধা দেননি কেন? আটকাননি কেন? তিনি বলেছেন, ববিদা সিনিয়র নেতা, সঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু দুঃখ একটাই, অনেকদিন আগে আমি যখন একই কথা বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল, এটা মন্ত্রিসভার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। কুণাল ঘোষ মন্ত্রিসভার কেউ নন! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলেছিলাম। তখনও বলা হয়েছিল, মন্ত্রিসভার কালেকটিভ ডিসিশন।” রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দেওয়া শিক্ষায় চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে ফিরহাদের বিস্ফোরক মন্তব্য ও তৃণমূল মুখপাত্রের পালটা প্রতিক্রিয়ার জল কোনদিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।
দেখুন ভিডিও: