অর্ণব আইচ: দুমাসের মধ্যে আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সোমবারই শিয়ালদহ আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দেবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করেছে সিবিআই। তবে প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কার নাম রয়েছে, তা জানা যায়নি বিশেষ।
গত ৯ আগস্ট ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সন্দেহে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর ২ দিন পর ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। ঠিক ৫৫ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে। তা নিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ''যাঁরা CBI চেয়েছিলেন, আজ দেখুন, মূল ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তারা এতদিনে শুধু সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট দিল, যাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তদন্ত চলুক। ডাক্তারদের গোষ্ঠী রাজনীতির নাটক, নানা গল্প চলবে। হয়ত পরে অন্য নাম জুড়বে। কিন্তু আজ মানুন, কলকাতা পুলিশ ঠিক পথেই ছিল।''
আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনা গোটা রাজ্যে তো বটেই, তোলপাড় ফেলেছিল দেশ, বিদেশে। প্রতিবাদ চরমে উঠেছিল। এমনকী সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তদন্তের অগ্রগতি কী, তা জানতে চেয়ে সুর চড়িয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শাসকদলও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। বিশেষত ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় কলকাতা পুলিশকে তদন্তকেই এগিয়ে রেখেছিলেন শাসকদলের নেতারা।
এর পরই সম্ভবত তদন্তে আরও সক্রিয়তা বাড়ায় সিবিআই। তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে সঞ্জয় একাই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত, সিবিআইয়ের চার্জশিটে এটা উল্লেখের ইঙ্গিতে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেরই প্রশ্ন, একার পক্ষে এহেন ঘটনা ঘটানো সম্ভব কি? নাকি আরও কেউ রয়েছে এর পিছনে? এই চার্জশিট নিয়ে অবশ্য় তেমন প্রতিক্রিয়া দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা।