ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্য়ায়: সুপ্রিম কোর্টের লিখিত রায় ঘিরে ধোঁয়াশা! আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। আগের সিদ্ধান্ত বদল করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সন্ধেয় এক্স হ্যান্ডেলে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ। সিআইএসএফ মোতায়েনের মৌখিক নির্দেশ শাসকদলের মধ্যে যতটা উৎকণ্ঠা তৈরি করেছিল, লিখিত নির্দেশনামায় তা না থাকায় অনেকটাই স্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, এদিনই আর জি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মতো হাসপাতালে বাহিনী পৌঁছেও গিয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বও নিয়েছে তারা।
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, 'RGKar এ কোনো কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। আগের সিদ্ধান্ত বদল করল সুপ্রিম কোর্ট।' উল্লেখ্য, সকালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও তার কপি এখনও শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে আপলোড হয়নি। তার আগেই তৃণমূল নেতার এই দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ কর্মী! নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের]
প্রসঙ্গত, হাসপাতালের কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (RG Kar Doctor Death) তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে উদ্বিগ্ন খোদ শীর্ষ আদালত। আর এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবারই হাসপাতালে পৌঁছয় সিআইএসএফ (CISF)। যদিও কুণালের দাবি, লিখিত নির্দেশে কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা নেই। তাই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে আপাতত সিআইএসএফ মোতায়েন হচ্ছে না বলেই দাবি তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্যর।
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ছিল, ৭০০ রেসিডেন্ট ডাক্তারের মধ্যে বেশিরভাগই নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় জন্য চলে গিয়েছে। ৩০-৪০ জন মহিলা, ৬০-৭০ জন পুরুষ ডাক্তার আছেন। শুধু নিজেদের পড়াশোনা নয়, পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে সমস্ত চিকিৎসকের হাসপাতালে ফিরে আসা উচিত। তাই CISF, CRPF পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করতে হবে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital)।