গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করল সিবিআই। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে সেকথা জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। আগামী ১৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ নির্দেশে কথাও বলেন। তারই মাঝে গত মার্চ মাসে শহিদ মিনারে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষেদের দিয়ে একসময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করেন।
তার ঠিক দিনদুয়েক পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গলায় শোনা যায় একই সুর। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আইনি পদক্ষেপ নেন। গত ১ এপ্রিল হেস্টিংস থানা এবং আলিপুর আদালতে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত আকারে জানান কুন্তল।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয়রা ফর্সা নন?’, খুশি-সুহানার ‘আর্চিস’ বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতেই কষিয়ে জবাব জোয়ার]
তারই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই মামলায় এজলাস বদল হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বেঞ্চ বদল হয়েও বিশেষ লাভ হয়নি।
গত ৮ মে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সেই মামলার তদন্তের জন্য কুন্তল জেলে থাকাকালীন সিসিটিভি ফুটেজ চায় সিবিআই। আরজি মঞ্জুর করে আদালত। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআই পাবে বলেই নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই অনুযায়ী সিসিটিভি সংগ্রহ করার কাজ শেষ বলেই হাই কোর্টে জানাল সিবিআই।