সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদের পাত্র এবং বন্দুক হাতে হিন্দি গানের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে বিধায়কের নাচের ভিডিও এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল৷ বিধায়কের কীর্তিতে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷ কিন্তু উত্তরাখণ্ডের বিধায়ক প্রণব সিং চ্যাম্পিয়নের তাতে কিছুই যায় আসে না৷ পরিবর্তে সাফাই দিলেন তিনি৷
কুঁয়ার প্রণব সিং চ্যাম্পিয়ন বলেন, “এই ভিডিও পুরোপুরি এডিট করা হয়েছে। অনুমতি না নিয়েই আমার বাড়িতে ঢুকে এই ভিডিও তোলা হয়েছে।’’ বিতর্কিত বিধায়কের আরও দাবি, ‘‘বন্দুক তো কারও দিকে তাক করা ছিল না, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আমার মতো একজন চারবারের বিধায়ককে দেখান, যিনি এই বয়সে আমার মতো ফিট এবং গুণী। বয়সকে আমি বশে রেখেছি। আমার ব্যক্তিত্বের এই ভাল দিকটা কেউ দেখছে না।”
[ আরও পড়ুন: রেলকে চাঙ্গা করতে তৎপর সরকার, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র]
উত্তরাখণ্ডের বিধায়ককে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ে না৷ সাংবাদিকের সঙ্গে অভব্য আচরণের জন্য মাসখানেক আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ফের বিতর্কের সূত্রপাত৷ ওই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি ঘরের মাঝে কালো রঙের গেঞ্জি এবং সাদা রঙের প্যান্ট পরে বেশ খোশমেজাজে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রণব সিং চ্যাম্পিয়ন৷ বাজছে হিন্দি গান৷ তালে তালে কোমর দোলাচ্ছেন তিনি৷ বিধায়কের হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র৷ বারবার বদলে বদলে বিভিন্ন বন্দুক হাতে নাচছেন তিনি৷ আবার কখনও মদ্যপানও করছেন৷ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরও দু’জন৷ তাঁরাও দিব্যি বিধায়কের সঙ্গে নাচছেন৷ এই ভিডিও প্রায় বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়৷ কীভাবে একজন বিধায়ক আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা৷ পুলিশেরও নজরে এসেছে এই ভিডিওটি৷ বিরোধীদের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ ভিডিওতে দেখতে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলির আদৌ লাইসেন্স রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা৷
[ আরও পড়ুন: নিজেকে নয়, আমেঠিতে হারের জন্য স্থানীয় নেতাদেরই দূষলেন রাহুল গান্ধী]
প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রণবকে শোকজ করে দল। এবার তাঁকে বহিষ্কার করা নিয়ে দলের অন্দরে কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলেই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে৷
The post বন্দুক হাতে নেচে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক, সাফাই ‘দাবাং’ চ্যাম্পিয়নের appeared first on Sangbad Pratidin.