সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের সময়কাল এখনও সকলের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। গোটা বিশ্বকে কার্যতই স্তব্ধ করে দেওয়া সেই দিনগুলি জীবনকে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছিল। আর সেই লকডাউনেই প্যারিস শহরের পটভূমিকায় লেখা চার মেয়ের বন্ধুত্বের গল্প 'ক্লিয়ারলি ইনভিজিবল ইন প্যারিস'। লেখিকা একজন নামী অভিনেত্রীও। তিনি কোয়েল রিঞ্চেট পুরী। বৃষ্টিস্নাত এক জুলাইয়ের সন্ধ্যায় তিনি কলকাতায় বসে আড্ডা দিলেন তাঁর দিল্লি থেকে প্যারিসগামী জীবনের নানা মুহূর্ত ও অভিজ্ঞতা নিয়ে। কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটিতে লেডিস স্টাডি গ্রুপ (Ladies Study Group) আয়োজিত অনুষ্ঠানটির নাম ছিল 'অন দ্য কাউচ উইথ কোয়েল পুরী'। যা তাঁরই এক জনপ্রিয় শোয়ের নাম।
নতুন সহস্রাব্দের শুরুতে 'এভরিবডি সেজ আই অ্যাম ফাইন'-এর মতো একগুচ্ছ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে হাতেখড়ি কোয়েলের। সেই ছবিগুলি ছিল সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা। তবে সেই সময়ই ডিডি মেট্রোয় 'আজ কি নারী'তেও দেখা গিয়েছিল কোয়েলকে। আর শুরুর এই সময় থেকেই তাঁর পাশে ছিল পরিবার। সেখান থেকে পাওয়া উৎসাহই সাহস জুগিয়েছিল স্বপ্নকে লালন পালন করার।
[আরও পড়ুন: কেজরির জামিন মামলা, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রসঙ্গ তুলে সরব আইনজীবী]
তাঁর জীবনের এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা নাসিরুদ্দিন শাহর (Nasiruddian Shah) মতো অভিনেতার সান্নিধ্য। যাঁকে 'অভিনয়ের ঈশ্বর' বলে মনে করেন কোয়েল। তাঁর সঙ্গে মাত্র ঘণ্টাখানেকের এক সাক্ষাৎই কীভাবে শেক্সপিয়রের 'মাস্টারক্লাস' হয়ে উঠেছিল সেকথা বলতে গিয়ে রীতিমতো অভিভূত দেখায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালককে। লন্ডনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্ট থেকে পরে অভিনয়ের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন তিনি।
কীভাবে একজন মহিলাকে কাজের সঙ্গে জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়, সেই বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি ফরাসিদের সঙ্গে বাঙালির তুলনাও করেন কোয়েল। তাদের বাকি সকলের থেকে বৌদ্ধিক এবং শৈল্পিকভাবে এগিয়ে রাখতে দেখা যায় তাঁকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাতা ফরাসি কাউন্সেল জেনারেলকে দেখা যায় মাথা নেড়ে সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়তে। সেই সময় গোটা হল ভেঙে পড়ে হাততালিতে। অনুষ্ঠানের আর এক জমাটি মুহূর্ত তৈরি হয় যখন কোয়েল নিজের উপন্যাস থেকে কিছুটা অংশ পড়ে শোনান। একেবারে শেষে দর্শকের করা প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। পরে তাঁকে দেখা যায় লেডিজ স্টাডি গ্রুপের সদস্যদের হাতে থাকা তাঁর উপন্যাসের কপিতে সই করতে। তাঁদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেডিজ স্টাডি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিনি জুনেজা, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচা আগরওয়াল, এক্সিটিউভ সেক্রেটারি মিতালি চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া নেওয়ার, সুগন্ধা ভারতী, পার্বণা জালান, সঙ্গীতা মেহতা, মনীষা কাজারিয়া, রীতু আগরওয়াল, দিব্যা পোদ্দার, ড. রূপালি বসু ও নীলাঞ্জনা বোস।