সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লন্ডনে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন। কলকাতায় ফিরে সংবাদমাধ্যমেই কাজ করছিলেন। পাশাপাশি নিচ্ছিলেন অভিনয়ের পাঠ। এর মাঝেই সুপারস্টার জিতের (Jeet) অফিস থেকে ডাক। ব্যস! শুরু হয়ে গেল লহমা ভট্টাচার্যর (Lahoma Bhattacharya) টলিউড সফর। রবিবার ভিডিও আপলোড করে ‘রাবণ’ সিনেমার নতুন নায়িকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন জিৎ।
টিজার প্রকাশ্যে আসার পর অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কমেন্ট বক্স। কীভাবে সিনেমার জগতে এলেন? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের প্রশ্নের উত্তরে ফোনে লহমা জানান, লন্ডনে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন তিনি। তারপর কলকাতায় এসে সংবাদমাধ্যমে কিছুদিন কাজও করেন। পাশাপাশি সুদীপ্তা চক্রবর্তীর কাছে অভিনয় শিখছিলেন। জিতের সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল তাঁর। সুপারস্টার যখন জানতে পারেন লহমা অভিনয় জগতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজে থেকেই অফিসে ডেকে পাঠান। এভাবেই বাস্তবের রূপকথার সূত্রপাত হয়।
[আরও পড়ুন: সত্যজিতের আভিজাত্য ‘অপরাজিত’র লোগোয়, তৈরির কাহিনি শোনালেন পরিচালক অনীক দত্ত ]
লহমার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হওয়ার পর অডিশন নেন জিৎ। তারপরই ‘রাবণ’ ছবির রাই হয়ে ওঠেন লহমা। তাঁর কথায়, “টিপিক্যাল হিরোইনের চরিত্র নয় রাই। বেশ স্ট্রং হিসেবেই তাঁকে দেখানো হয়েছে ছবিতে। ” ছবিতেও লহমা জার্নালিজমের ছাত্রী। খুবই প্রাণবন্ত একটা চরিত্র। আবার একই সঙ্গে অত্যন্ত কৌতুহলী। কোনও ঘটনার সত্যতা জানার জন্য যেকোনও ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত রাই।
সংবাদমাধ্যমের জগতের সঙ্গে ভালভাবেই পরিচিত লহমা। তা এই চরিত্রের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। আর সাহায্য করেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty)। রাই কীভাবে ভাবতে পারে, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কেমন হতে পারে, সেটা কল্পনা করেই অভিনয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন সুদীপ্তা।
সুপারস্টার জিতের সঙ্গে প্রথম কাজ। কেমন ছিল অভিজ্ঞতা? প্রশ্নের উত্তরে লহমা বলেন, “জিৎদার সঙ্গে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে। সমস্ত ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। একেক সময় গানের ক্ষেত্রে কিংবা কোনও সংলাপের ক্ষেত্রে খুব নার্ভাস লেগেছিল। মানে এত বড় সুপারস্টার। বুঝতেই পারছেন! কিন্তু জিৎদা সত্যিই খুব সাহায্য করেছেন। আমার শুধু থ্যাঙ্কিউ ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।”
২৯ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে ‘রাবণ’ (Raavan)। জিৎ ও লহমা ছাড়াও ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ছবি নিয়ে আশাবাদী লহমা। এই সময় সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করেন তিনি। ভাল-মন্দের হিসেব নিকেশ পরেও করা যেতে পারে বলেই মনে করেন অভিনেত্রী।