সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লখিমপুর খেরির ঘটনায় (Lakhimpur Kheri violence) উত্তপ্ত গোটা দেশ। বিরোধীরা মুণ্ডপাত করে চলেছে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের। এবার সেই ঘটনায় উঠল খালিস্তানি (Khalistani) যোগের অভিযোগও। মৃতদের পরিবারের তরফেই এই অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেরও সন্ধান মিলেছে, যেখান থেকে হিংসার বিষয়টি পরিচালিত হয়েছিল। সব মিলিয়ে লখিমপুর খেরির ঘটনাকে ঘিরে রহস্য অব্যাহত।
রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুর খেরিতে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সেখানে। নিহতদের অন্যতম হরিওম। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গোটা ঘটনায় হিংসা ছড়ানোয় কোনও কৃষক জড়িত নন। যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের হাতে ভয়ংকর অস্ত্রশস্ত্র ছিল। তারা খালিস্তানি জঙ্গি বলে দাবি মৃত কৃষকের পরিবারের। আরও অভিযোগ, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান মিলেছে যেটি ঘটনার ঠিক আগেই তৈরি করা হয়েছিল। ওই গ্রুপের অ্যাডমিন কারা তা খুঁজে বের করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন:ফের দাম বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের, উৎসবের মরশুমে বাড়তি বোঝা আমজনতার উপর]
এদিকে মৃত কৃষকদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের দাবি, মৃত চার কৃষকের কারও শরীরেই গুলির আঘাতের চিহ্নের সন্ধান মেলেনি। ধাক্কাধাক্কির ফলে হওয়া অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই সংঘর্ষে।
চার কৃষকের হত্যায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে। যদিও অজয় তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এছাড়া তাঁর পাল্টা দাবি, ওইদিন চার কৃষক ছাড়াও আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন বিজেপি কর্মী ও গাড়ির চালক। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কেবল চার কৃষকেরই নাম রয়েছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগের জল্পনায় ইতি! রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কংগ্রেসেই থাকার সিদ্ধান্ত মুকুল সাংমার]