বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: দক্ষিণ সিকিমের নামচি জেলা ধস ও হড়পা বানের ধাক্কা সামলে না উঠতেই সোমবার রাতের প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত পূর্ব সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ধস নেমেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিংতামের শান্তিনগর এবং গ্যাংটকে। সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সোমবার রাত থেকে অবরুদ্ধ হয়েছিল। জাতীয় সড়ক জুড়ে বোল্ডার, গাছ, জলকাদা জমে আছে। শান্তি নগর, সিংটামে রাস্তাটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় যানজট তীব্র হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালের পর ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে শিলিগুড়ি থেকে একমুখী যান চলাচল শুরু হলেও দীর্ঘ গাড়ির লাইন পড়েছে। সেখানে ধস সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। রাতভর প্রবল বৃষ্টির জন্য রানিখোলা নদী ফুলেফেপে উঠে রাস্তায় ঝাঁপিয়েছে। বিভিন্ন বাড়িতে নদীর জল ঢুকেছে। ভেসেছে গাড়ি। সিংটামে এদিন সকালেও হাঁটার পথ ছিল না। এদিন হতাহতের খবর না মিললেও প্রচুর সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে বড়সড় দুর্নীতি! মোদি-শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল]
সিকিমের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র মেঙ্গলি, ইয়াংগাং, নামচি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে পলি, বালিতে তলিয়েছে রাস্তা। ঘরবাড়ি ভেসেছে। রোলেপে ভূমিধসের সঙ্গে ছিল হড়পা বানের দাপট। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে গ্যাংটকের শিবমন্দিরের কাছে। রবিবার রাতে প্রবল বর্ষণের জেরে হড়পা বান ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয় দক্ষিণ সিকিমের নামচি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘুমন্ত অবস্থায় ধসে চাপা পড়ে জলের তোরে ভেসে এক মহিলা-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
ইয়াংগাং-এর মাজওয়া গ্রামের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সিকিম মন্ত্রিসভা আর্থিক সাহায্য অনুমোদন করেছে। এছাড়াও বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পকিয়ং মহকুমার লাটুক ঠেক থেকে রোলেপ রাস্তা মঙ্গন মহকুমার ফিডং সাংটক রাস্তা ধসে অবরুদ্ধ আছে।